আমূল বদলে যাচ্ছে কেরানীগঞ্জের অবকাঠামো

রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, বিদ্যুৎকেন্দ্র—নানা খাতে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2018, 05:06 PM
Updated : 23 Dec 2018, 04:59 AM

যেসব অঞ্চলে কয়েক বছর আগেও রাস্তা-ঘাট ছিল অকল্পনীয়, সেসব এলাকার মধ্য দিয়ে চলে গেছে পাকা সড়ক। নৌকা দিয়ে আগে যেসব নদী-খাল পার হতে হত, সেসব জায়গায় গড়ে উঠেছে সেতু। পতিত জমি ঘিরে গড়ে উঠছে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা। গোটা অঞ্চলকে সাজাতে মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ককে আট লেইনে উন্নয়নের কাজ, কদমতলী জনি টাওয়ার রাস্তা চার লেইনে উন্নয়ন এবং জনি টাওয়ার থেকে দোহার পর্যন্ত ৩০ ফুট চওড়া রাস্তা নির্মাণকাজ চলছে দ্রুতগতিতে।

কেরানীগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে ঢাকার এই জনপদ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশের মধ্যে একটি রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, বিদ্যুৎ, আইনশৃঙ্খলা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি হয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দক্ষ নেতৃত্বে।

গত ১০ বছরে ঢাকা-৩ আসনের উন্নয়ন চিত্রের বর্ণনা পাওয়া যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তথ্যে।

বিভিন্ন ধরনের সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। আরও প্রায় ২৫ কিলোমিটারের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। প্রায় ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন করা হয়েছে। ১৫টির বেশি নতুন স্কুল ভবন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হবে ছয়তলা কমপ্লেক্স; যেখানে লিফট সুবিধা, অ্যাটাচড বাথরুম, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমসহ নানা ধরনের সুবিধা।

নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে গত ১০ বছরে কেরানীগঞ্জে যে পরিমাণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে তা আগে কখনো হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন।

বিপু বলেন, “আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে কেরানীগঞ্জকে গড়ে তোলার সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই নানা প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং আগামীতেও বাস্তবায়ন করা হবে।” 

গত ১০ বছরের অর্জন:

# উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ এবং এলজিইডির অর্থায়নে রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

# বিভিন্ন ইউনিয়নে মাটির নতুন কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।

# কেরানীগঞ্জে ড্রেনেজ পরিকল্পনা ঢেলে সাজানো হয়েছে।

# কেরানীগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।

# কেরানীগঞ্জের দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুকে সাধারণ জনগণের সুবিধার্থে টোল ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে।

# জনসাধারণের চলাচলের জন্য আধুনিক ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে।

# বিভিন্ন রাস্তায় সোলার ও এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে।

# ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক আট লেইনে উন্নয়নের কাজ চলমান।

# কদমতলী জনি টাওয়ার রাস্তা ৪ লেনে উন্নয়ন কাজ চলমান।

# জনি টাওয়ার থেকে দোহার পর্যন্ত ৩০ ফুট চওড়া রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

# বিনোদন কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

# ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের জন্য পানগাঁও পোর্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

শুধু কাজ বাস্তবায়ন করা নয়, ভবিষ্যতে কী কী করা হবে তা নিয়েও নানা পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন নসরুল হামিদ বিপু।

পরিকল্পনা:

# কেরানীগঞ্জের পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য রিভাইস স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন রাস্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে।

# কোন্ডা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁ ও নারায়ণগঞ্জের আলিগঞ্জের মধ্যে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

# ঢাকার বাইপাস হিসাবে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে কোন্ডা ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রস্তাবিত নতুন ব্রিজের সাথে সংযোগ করে নতুন রাস্তা পরিকল্পনাধীন রয়েছে।

# আন্তঃজেলা ট্রাক ও বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

# বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জনসাধারণের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

# সমস্ত কেরানীগঞ্জ জুড়ে উন্নত ও আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে।

# সর্বোচ্চ মৌসুমি বৃষ্টিপাত সামাল দিতে সোয়ারেজের সাথে ডাইমেনশন ক্যালকুলেশন করে ড্রেনের গভীরতা বাড়ানো হবে।

# চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে কেরানীগঞ্জে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে।

# কেরানীগঞ্জকে দৃষ্টিনন্দন করতে প্রতিটি রাস্তার সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হবে।

# ঢাকা সংলগ্ন কেরানীগঞ্জের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পানগাঁও নৌবন্দরকে আরও আধুনিক ও গতিশীল করা হবে।