মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনূরের আদালতে রিভিশন আবেদন দুটির শুনানির পর এই দিন ঠিক হয়।
মামলার বাদী সাবেক যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি আইন এবং মানহানির মামলা দুটি যাতে স্বাভাবিক নিয়মে চলে শুনানিতে সে বিষয়ে আবেদন করেছেন তিনি।
“মুক্তিযুদ্ধের সময় যে পাকিস্তানি পাজামা ও পোশাক পরে হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা-নির্যাতন করেছে, সেধরনের পোশাক বঙ্গবন্ধুকে পড়ানো যায় না। আশাকরি, আদালত রিভিশন গ্রহণ করবেন।”
২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফরের আগে নিজের নির্বাচনী এলাকায় সড়কের পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত কয়েক ডজন বিলবোর্ড লাগিয়েছিলেন লতিফ, যাতে বঙ্গবন্ধুর ছবির সঙ্গে এই সংসদ সদস্যের মুখ জুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের একাংশের বিক্ষোভের মুখে লতিফ ওই বিলবোর্ডের দায়িত্ব পাওয়া বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে দায়ী করেন এবং নিজে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এরপর রবি লতিফের বিরুদ্ধে প্রথমে একটি মানহানির মামলা করেন। পরে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে আরেকটি মামলা করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে চলতি বছরের ৮ মার্চ মামলা দুটি খারিজ করে দেন চট্টগ্রামের পঞ্চম মহানগর হাকিম আল ইমরান।
এরপর গত ১৯ মার্চ তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলাটিতে এবং ২ এপ্রিল মানহানির মামলায় আদালতে রিভিশন আবেদন করেন বাদী রবি।
তার আইনজীবী মোসলেম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এম এ লতিফ চেম্বারের সভাপতি ছিলেন। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও সাংসদ।
“নিজেকে জাহির করার জন্য বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে তিনি জাতির জনকের সম্মানহানি করেছেন। এসংক্রান্ত তথ্য ও ছবি আদালতে জমা দিয়েছি। রিভিশন গ্রহণ করে মামলা দুটি স্বাভাবিক নিয়মে চলার আদেশ দিতে আবেদন করেছি।”
লতিফের আইনজীবী রেজাউল করিম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মামলা দুটি খারিজের আদেশ দিয়েছেন। শুনানিতে সে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তিনি।
লতিফের দুঃখ প্রকাশের কথাও আদালতে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।