তিনি বলেছেন, বিশ্ব ব্যাংকের কাজের জন্য এখন কঠিন সময় চলছে। ভালো খবর হচ্ছে, এই বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২০১০ সালের পর সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
বাণিজ্য বাড়লেও বিনিয়োগ পরিস্থিতি এখনও নাজুক জানিয়ে বিশ্ব ব্যাংক প্রধান বলেন, বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করে দারিদ্র্যমুক্ত ডিজিটাইলজড বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় এসব বলেন তিনি।
সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে আসা ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আগের দিন সম্মেলন শুরু হলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় শুক্রবার।
বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০১৩ সালে তারা ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য দূর করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
“এক বছর আগে আমি এজন্য তিনটি পথের কথা বলেছিলাম। সেগুলো হল- দ্রুত অন্তর্ভুক্তিকরণ, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মানুষের জন্য আরও বেশি বেশি বিনিয়োগ।”
তিনি বলেন, “বিশ্ব দারিদ্র্যকে নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ সময়। মানুষের জন্য বিনিয়োগ ছাড়া বিশ্ব অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এখন কঠিন কাজ।”
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলে, ধনী ২৫টি দেশ এবং দরিদ্রতম ২৫টি দেশের মধ্যে যে ব্যবধান সেটা মানব সম্পদে বিনিয়োগই গড়ে দিয়েছে।
“অর্থাৎ যে ২৫টি দেশ শীর্ষ ধনী হয়েছে তারা মানব সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে হয়েছে। আর সবচেয়ে দরিদ্র ২৫ দেশ গরিব রয়েছে এ খাতে বিনিয়োগ না করার কারণে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড সদস্য দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরদের উদ্দেশে বলেন, “সামষ্টিক অর্থনীতিতে ভালো করাই কেবল শেষ কথা নয়, অর্থনীতিতে যেন মানবিকতাই মুখ্য হয়- সে বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়েই কাজ করতে হবে।”