তিনি বলেছেন, “বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তারা দীর্ঘদিন পর বাজেট সহায়তা দিতে চাচ্ছে; আমরাও আগ্রহ দেখিয়েছি। আশা করছি পেরুতে এই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।”
২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি এ তথ্য জানান।
মুহিত বলেন, “গতবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এই দুই সংস্থার বার্ষিক সভায় চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল। সে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। লিমায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে আমরা আশা করছি।”
৫ থেকে ১১ অক্টোবর পেরুর রাজধানী লিমায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার পাশাপাশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ঋণ-সহায়তার পরিমাণও ঠিক করবে আর্থিক খাতের মোড়ল এ দুই সংস্থা।
বাংলাদেশের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক শুরুর আগে সেখানে কমনওয়েলথ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকেও অংশ নেবেন তিনি।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে অর্থমন্ত্রী এখন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই তিনি লিমায় যাবেন।
সম্মেলন শুরুর আগে এক বিবৃতিতে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, “সবাইকে প্রবৃদ্ধির ভাগীদার করতে হবে। সবার জন্য প্রবৃদ্ধির সুফল নিশ্চিত করতে হবে।”
১ অক্টোবর দেওয়া ওই বিবৃতিতে কিম সবাইকে উন্নয়নের অংশীদার করতে সরকার প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ব ব্যাংক প্রধান বলেন, “উন্নয়নশীল দেশের প্রান্তিক ৪০ শতাংশ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক্রমবর্ধমান অসমতা মোকাবেলায় সরকারগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
২০০৭ সালের পর বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে কোনো বাজেট সহায়তা পায়নি বাংলাদেশ।
বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে অন্যান্য ঋণ সহায়তার পাশাপাশি অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে এই বাজেট সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানান মুহিত।
বাজেট সহায়তার ভালো দিক ব্যাখ্যা করে মুহিত বলেন, “এই সাপোর্টের তেমন কোনো শর্ত থাকে না। সরকার বাজেটের মাধ্যমে যে কোনো খাতে এই অর্থ খরচ করতে পারে।”
বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের সবচেয়ে বড় এই সম্মেলনে এ দুই উন্নয়ন সংস্থার ১৮৮টি সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ছাড়াও বেসরকারি খাতের নির্বাহী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।