কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, শনিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ২৬ মে নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দলের সভানেত্রীর পাশাপাশি সহসভাপতি রাহুলের উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ফোনে শুভেচ্ছা জানালেও তার দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং তার ছেলে রাহুল নতুন প্রধানমন্ত্রী মোদির নাম এড়িয়ে বিজেপিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
পরে অবশ্য মা-ছেলে দুজনই তাদের অবস্থান পাল্টান। মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠিও দিয়েছিলেন সোনিয়া। এরপরই মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে রাহুলের যোগ দেয়ার ঘোষণা এল।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বর্ষীয়ান সদস্য জনার্দন দ্বিবেদী বলেন, “বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে সোনিয়া-রাহুলের মতান্তর রয়েছে ঠিকই। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন গণতন্ত্রের উৎসব। দেশের প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সেই উৎসবেরই অঙ্গ।”
দ্বিবেদীর মতে, প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়াটা সংসদীয় রাজনীতির শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে এবং তা পালনে কংগ্রেস কখনই ত্রুটি রাখেনি।
কংগ্রেসের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অটলবিহারী বাজপাই-এর শপথেও উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া।
মোদির শপথে যোগ দেয়ার জন্য সব আঞ্চলিক দলের নেতানেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।
সিপিএমের পলিটব্যুরোর নেতা সীতারাম ইয়েচুরি নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে আমন্ত্রণপত্র পেলেও থাকতে পারছেন না ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। নিজের অপারগতার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। তার প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন না। তবে তার প্রতিনিধিত্ব করবেন দলের নেতা মুকুল রায় ও অমিত মিত্র।
নরেন্দ্র মোদির আগ্রহে তার শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, শ্রীলঙ্কার মাহিন্দা রাজাপাকসে, আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইসহ সার্ক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তবে জাপান সফরের কারণে শেখ হাসিনার পরিবর্তে তার প্রতিনিধি হিসেবে যাবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিজেপির মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, “শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফসহ বিদেশি রাষ্ট্রনেতারা আসছেন। সেখানে সব দলের শীর্ষ নেতারা থাকলে গণতন্ত্রই আখেরে মজবুত হবে। সবাই যে অন্তত প্রতিনিধি পাঠাতে রাজি হয়েছেন, এতেই আমরা খুশি।”