লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির দায় মাথায় নিয়ে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করতে চাইলেও তাতে বাধ সেধেছে কংগ্রেস।
Published : 19 May 2014, 08:54 PM
ভোটের ফল প্রকাশের পর সোমবার কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় সভানেত্রী সোনিয়া এবং সহসভাপতি রাহুল পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানান।
তবে কংগ্রেস নেতারা তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেননি বলে ইন্দো এশিয়া নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে।
বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতা ও পাঞ্জাবের সাবেক মুখমন্ত্রী অমরিন্দর সিং সাংবাদিকদের বলেন, “সোনিয়াজী ও রাহুল পদত্যাগের ইচ্ছা জানিয়েছিলেন। তবে ওয়ার্কিং কমিটি তা প্রত্যাখ্যান করেছে।”
শুক্রবার ঘোষিত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে কংগ্রেসের শোচনীয় হারের পর থেকে মা সোনিয়া এবং ছেলে রাহুলের পদত্যাগের গুঞ্জন চলছিল।
এবার লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩ আসনের মধ্যে মাত্র ৪৪ আসনে জয় পেয়েছে টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস। এটা ভারতের প্রাচীনতম দলটির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল।
শোচনীয় পরাজয়ের পাশাপাশি লোকসভার প্রধান বিরোধী দল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এক-পঞ্চমাংশ আসন না পাওয়াও কংগ্রেসের নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রধান বিরোধী দলের স্বীকৃতি না পাওয়ার ঝুঁকিতেও রয়েছে দলটি।
শুক্রবার ফল ঘোষণার পর মায়ের সঙ্গে রাহুল গান্ধী
শুক্রবার ভোটের ফলে যখন শোচনীয় হারের আভাস মিলছিল, তখনি বিভিন্ন স্থানে কংগ্রেসকর্মীরা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে রাজনীতিতে আনার দাবি তুলেছিল।
তবে এই বিষয়ে কংগ্রেসের বক্তব্য, প্রিয়াঙ্কা রাজনীতিতে আসবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত একান্তই গান্ধী পরিবারের।
দাদি ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া যার মাঝে দেখতে পান কংগ্রেসকর্মীরা, সেই প্রিয়াঙ্কা রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও মা ও ভাইয়ের জন্য রায়বেরিলি ও আমেথিতে নির্বাচনী প্রচার চালান।
রায়বেরিলিতে সোনিয়া বিপুল ব্যবধানে জয়ী হলেও নিজেদের আসন আমেথিতে রাহুলের বিরুদ্ধে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলেন বিজেপির প্রার্থী অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানি।
রাহুল প্রায় তিন লাখ ভোট পেয়ে জয়ী হলেও স্মৃতি ইরানি ভোট পেয়েছেন দুই লাখের বেশি।
বিশাল (৮০ আসনের) উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র দুই আসন। অর্থাৎ এই রাজ্যে সোনিয়া ও রাহুলই শুধু জিতেছেন।