গাইবান্ধায় ভোট গ্রহণ শেষে গণনা চলছে

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের ভোট গ্রহণ শেষে গণনা চলছে।

তাজুল ইসলাম রেজা গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2019, 01:22 PM
Updated : 27 Jan 2019, 01:26 PM

রোববার সকাল ৮টায় ১৩২টি কেন্দ্রে শুরু হয়ে একটানা ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ হয়।

দিনভর ভোটগ্রহণ চলাকালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন জাসদ প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনকে ঘিরে আড়াই হাজার পুলিশ, দেড় হাজার আনসার সদস্য, ২০ প্লাটুন বিজিবি ও ২০ প্লাটুন র‌্যাব সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রতি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বরত ছিলেন বলেও তিনি জানান।

সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর সরকারি কেএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের লাইন দেখা গেছে।

এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন মিয়া বলেন, এখানে মোট ভোটার তিন হাজার ২৩২ জন। প্রাপ্ত ভোট শতকরা ৬১ ভাগ। নৌকা পেয়েছে ১৭৭৬ ভোট, মশাল ৯০ ভোট ও লাঙল পেয়েছে ৮০ ভোট। 

পার্শ্ববর্তী সাদুল্লাপুর পাইলট বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়েও ভোটারদের লাইন দেখা না গেলেও। একজন-দুইজন করে ভোটার সারাদিন ভোট প্রদান করেছে। তবে দুপুরের দিকে কিছুক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোটও প্রদান করেছেন।

এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান মন্ডল বলেন, এ কেন্দ্রে মোট ভোটার চার হাজার ৩৩৫ জন। প্রাপ্ত ভোট শতকরা ৩১ দশমকি ২৪ ভাগ। নৌকা ১১৬২ ভোট, মশাল ১০৩ ভোট ও লাঙল ৬৮ ভোট পেয়েছে। 

পীরেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, এ কেন্দ্রের মোট ভোট ৩৭৮৪। প্রাপ্ত ভোট ৭৬ দশমিক শূন্য এক। নৌকা ২৬৩৬ ভোট, লাঙল ১৫৩ ভোট ও মশাল ৭১ ভোট পেয়েছে। 

বড় ছত্রগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রর প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, এ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোট ২৫ দশমিক ৮৪। 

এদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মশাল প্রতীকের প্রার্থী জাসদ নেতা খাদেমুল ইসলাম খুদি ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির নানা অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

দ্বিতীয় দফায় জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন গত ১০ জানুয়ারি ভোট কারচুপি ও অনিয়মের আশংকায় সাদিকসহ বাসদ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

এখন ভোটের লড়াইয়ের মাঠে রয়েছেন পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন মহাজোটভুক্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইউনুস আলী সরকার (নৌকা), জাপা (এ) প্রার্থী দিলারা খন্দকার (লাঙল) ও জাসদ প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি (মশাল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মিজানুর রহমান তিতু (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ (সিংহ)।

১৩২ টি কেন্দ্রের মধ্যে দুই উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল দিকে ভোটারের উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়। অধিকাংশ কেন্দ্রে লাইন দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা না গেলেও সকাল ১০টা থেকে দুই-একজন করে ভোটার বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রতি কেন্দ্রে তাদের ভোট প্রদান করেছে। কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটারদের লাইনও দেখা গেছে।