ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী জয়ী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে পুনরায় ভোটে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা জয়ী হওয়ায় একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির আসন একটি বাড়ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2019, 01:42 PM
Updated : 9 Jan 2019, 05:19 PM

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মাত্র পাঁচটি আসনে জিতেছিল; এখন সেই সংখ্যা ৬টি হল। গণফোরামের দুজন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আসন বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটটি।

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে তিনটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়েছিল সংঘাতের কারণে।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার ওই তিন কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের পর রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরা।

আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুনঃভোট হয়।

ভোট গণনা করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মৌসুমী জানান, তিনটি কেন্দ্রসহ মোট ১৩২টি কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কলার ছড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট।

এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না। আসনটি তারা জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলেও কোন্দলের কারণে এই দলেরও দুজন প্রার্থী হয়েছিলেন।

অন্যদিকে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন।

আব্দুস ছাত্তার ভূঞা

সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার এনিয়ে পঞ্চম বার এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।

১৯৮৬ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত হন ১৯৯১ সালে। ১৯৯৬ সালের দুটি নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন।

২০০১ সালের নির্বাচনে ইসলামী ঐক্য জোটের তৎকালীন চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়েছিল উকিল আব্দুস সাত্তারকে। তখন সাত্তারকে টেকনোক্র্যাট কোটায় ভূমি প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন খালেদা জিয়া।

এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনেও মুফতি আমিনী বিএনপির জোটের প্রার্থী হয়েছিলেন; কিন্তু মহাজোটের জিয়াউল হক মৃধার কাছে হেরে যান তিনি।

মুফতি আমিনী মারা যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উকিল আব্দুস সাত্তার ২২ বছর পর আবার ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ পান।

উকিল আব্দুস সাত্তার নির্বাচিত হলেও তার দল বিএনপি একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরাও শপথ নেয়নি এখনও।