দাসিয়ারছড়ার রাশমেলা এলাকার বৃদ্ধ মোক্তার আলী বলেন, “বুইড়া বয়সোৎ এমপি ভোট দিয়া খুব আনন্দ পাইছি ভাইজান।”
টংকার মোড়ের রুজিনা বলেন, “ভোট দিমের পামো চিন্তাই করি নাই। যাই হামাক পরিচয় দিছে তার প্রার্থীক ভোটটা দিছি।”
কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ১২টি ছিটমহলের মধ্যে ১১টিতে মানুষ বসবাস করে। এখানে ১ হাজার ৮শটি পরিবারে প্রায় ৯ হাজার মানুষ রয়েছে। মোট ভোটার প্রায় ৪ হাজার। এরমধ্যে দাসিয়ারছড়ায় ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১৭২জন।
দাসিয়ারছড়ার মানুষ মোট ৫টি ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, পশ্চিম কুটি চন্দ্রখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চন্দ্রখানা উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দ্রখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটিয়াবাড়ি ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছড়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পূর্ব চন্দ্রখানা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এই কেন্দ্রে ৩ হাজার ৬৮৮টি ভোটের মধ্যে ১হাজার আটশটি ভোট দেওয়া হয়ে গেছে।
এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রাশমেলা গ্রামের আজিজুল হক বলেন, “এই কেন্দ্রে বেশ কয়েকজন ভোটার তাদের ভোট দিতে এসে জানতে পারেন তাদের ভোট আগেই দেয়া হয়েছে। তারা ভোট না দিয়েই ফিরে যান।”
রোববার সকাল ৮টা থেকেই দাসিয়ারছড়ায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃংখলভাবে ভোট দেন।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোটের অভিযোগ ওঠে। যদিও কোথাও ভোটকে কেন্দ্র করে বড় কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।