জেলায় জেলায় ধানের শীষ প্রার্থীর ভোট বর্জন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে বিএনপি-জামায়াত জোটের অন্তত ৩১ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকও জেলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2018, 11:40 AM
Updated : 30 Dec 2018, 04:02 PM

এছাড়া ঢাকা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলাম, কুড়িগ্রামে ইমরান এইচ সরকারসহ আরও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও একই অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ভোট বর্জনকারীদের মধ্যে গাইবান্ধা, খুলনা ও জয়পুরহাট জাতীয় পার্টির চার নেতা এবং সিপিবির একজন নেতাও রয়েছেন।

সালমা ছাড়া ঢাকায় ভোট বর্জন করেছেন আর একজন, ঢাকা-১৭ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ।

গুলশান, বনানী ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনে পার্থের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফারুক।

ভোটগ্রহণের মাঝপথে রোববার দুপুরে পার্থ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচনের ‘পরিবেশ ছিল না’, তারপরও তিনি সুষ্ঠু ভোটের আশায় ছিলেন।

ঢাকা-১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ) সালমার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সালমার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সালমান এফ রহমান।

ভোটগ্রহণ শুরুর ঘণ্টা চারেকের মাথায় দুপুরে নবাবগঞ্জের কামারখোলা এলাকার বাড়িতে প্রার্থীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তার স্বামী ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বাবুল।

পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “জনগণ, ভোটারদের নিরাপত্তা- সমস্ত কিছু বিবেচনা করে আমরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। এ নির্বাচন স্থগিত চাই। পুনরায় ঢাকা-১ আসনে নির্বাচন চাই।”

এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

ধানের শীষের প্রার্থী আবু হেনা

রাজশাহী

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আবু হেনা দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। রাজশাহী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার এলাকায় নৌকার সমর্থকরা ধানের শীষের সমর্থকদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছে না।

“সাধারণ ভোটারদেরও জান-মালের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। আমি ভোটে থাকলে ব্যাপক হানাহানির ঘটনা ঘটবে।”

খুলনা

এজজাজ খান ও রকিবুল ইসলাম

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর ও খানজাহান আলী) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল বেলা ১টায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি খালিশপুরে নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন এই ঘোষণা দেন।

এরপর বেলা সোয়া ১টার দিকে খুলনা-৪ আসনের (রূপসা-তেরখাদা-দীঘলিয়া) ধানের শীষের প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল ভোট বর্জন করেন।

তার আগে সকাল ১১টায় খুলনা-১ আসনের (দাকোব-বটিয়াঘাটা) বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আমির এজাজ খান ভোট বর্জন করেন।

এছাড়া খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার এবং খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদও ভোট বর্জন করেছেন।

 

সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের পাঁচটি আসনেই ধানের শীষের প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেছেন। এরা হলেন- সিরাজগঞ্জ-১ আসনে কন্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে রুমানা মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম খান ও সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে সাবেক ছাত্রনেতা আমিরুল ইসলাম খান আলিম।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ- ৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এ এইচ এম খালেকুজ্জামান নির্বাচন বর্জন করেছেন।

শেরপুর

বিএনপি মনোনীত ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত শেরপুর- ২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসনের প্রার্থী ফাহিম চৌধুরী এবং শেরপুর-৩ (শ্রীবরদ-ঝিনাইগাতী) আসনের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল ভোট বর্জন করেছেন।

রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শেরপুর জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

সাতক্ষীরা

 

সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম ভোট বর্জন করেছেন। এ দুই প্রার্থী কারাগারে থাকায় তাদের পক্ষে দলের নেতারা এ ঘোষণা দেন।

মাদারীপুর

মাদারীপুরের দুটি আসনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

এরা হলেন- মাদারীপুর-২ আসনের (রাজৈর-সদর উপজেলার একাংশ) বিএনপি প্রার্থী মিল্টন বৈদ্য এবং মাদারীপুর-৩ (সদর-কালকানী) আসনে বিএনপি প্রার্থী আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন। এদের বাইরে মাদারীপুর-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী আল আমীন মোল্লাও ভোট বর্জন করেছেন।

জয়পুরহাট

জয়পুরহাট-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী এ ই এম খলিলুর রহমান ভোট বর্জন করেছেন। পরে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোক্তাদির তিতাস মোস্তফাও ভোট থেকে সরে দাঁড়ান।

বাগেরহাট

ভোট শুরু হওয়ার তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই বাগেরহাটে ধানের শীষের চার প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

এরা হলেন, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে বিএনপির মো. শেখ মাছুদ রানা, বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া) আসনে বিএনপির এম এ সালাম, বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মংলা) আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জামায়াত নেতা মোহম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ শেখ এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জামায়াত নেতা মো. আব্দুল আলীম।

এদের মধ্যে বাগেরহাট-২ আসনের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিপক্ষরা ভোটের আগের রাতে এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেয়, বেশ কয়েকজন এজেন্টকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সকালে এসব এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে আসলে তাদের বের করে দেওয়া হয়।

“এছাড়া আমাদের সমর্থকরা ভোট দিতে গেলে তাদের প্রকাশ্যে দেখিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। নৌকার এজেন্ট ও সমর্থকরা ব্যালট পেপারে নিজেরা সিল মেরে ভোট বাক্স ভর্তি করেছে। এই নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন, জনগণ এই ভোট মানে না। তাই বাগেরহাটের চারটি আসনের ঐক্যফন্টের চার প্রার্থী ভোট বর্জন এবং প্রত্যাখ্যান করছি।”

ফেনী

নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল ভোটের অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ফেনীর তিনটি আসনের ধানের শীষের প্রার্থীরা।

বেলা ১২টায় ফেনী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী জয়নাল আবেদিন ওরফে ভিপি জয়নাল তার ফলেশ্বরের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান। একই দাবিতে দুপুর সাড়ে ১২টায় ফেনী-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী মুন্সি রফিকুল আলম মজনু ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের চত্বরে, ফেনী-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী আকবর হোসেন দাগনভূঞাস্থ তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন।

রফিকুল আলম বলেন, “বিএনপির কোনো ভোটারকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সকালে পূর্ব ছাগলনাইয়া কেন্দ্রে ২৯৫টি ভোট কাস্ট হয়েছে। গড়ে প্রতি মিনিটে তিনটি ভোট কাস্ট হয়েছে, যা কোনোভাবেই সম্ভব না। ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে না যেতেই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এ ভোট কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না “

ফেনী-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী ভিপি জয়নাল বলেন, “ভোটের নামে লুটপাট হচ্ছে। কেন্দ্রে বিএনপির সমর্থকদের যেতে দেওয়া হয়নি। ভোট দেওয়ার মতো কোনো ব্যালটও ছিল না বুথে। রীতিমতো ভোট ডাকাতি হয়েছে।”

গাইবান্ধায় বিএনপিসহ ছয় প্রার্থীর ভোট বর্জন

কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, সিল মেরে নেওয়া, ভোট দিতে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ঐক্যফ্রন্ট, জাতীয় পার্টি ও সিপিবির ছয়জন প্রাথী ভোট বর্জন করেছেন। এর মধ্যে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মো. মাজেদুর রহমান সকাল সাড়ে ১০টায় সাংবাদিকদের ডেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, “উপজেলার ১১১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি কেন্দ্র থেকে আমার নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দিয়ে লাঙ্গল প্রতীকের কর্মীরা সিল মেরে নেন। এসব বিষয়ে প্রশাসনকে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। তাই ভোট বর্জন করলাম।”

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন গণতান্ত্রিক বাম জোটের প্রার্থী সিপিবি নেতা মিহির ঘোষ। তিনি বলেন, “কেন্দ্র থেকে আমার নির্বাচনী এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়। ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা দেয় শাসকদলের কর্মীরা। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়ে কোনো কাজ হয়নি। এটি একটি একতরফা সাজানো ও প্রহসনের নির্বাচন। তাই ভোট বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি।”

একই ধরনের অভিযোগ এনে বিকেলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন এই আসনের বিএনপির প্রার্থী আবদুর রশিদ সরকার।

এরআগে সকাল ১১টায় নির্বাচন বর্জন করেন গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী কাজী মশিউর রহমান। তিনি উপজেলা শহরের নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।

মশিউর বলেন, “ভোটের আগের রাতেই নৌকায় সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়। ভোটের দিনও নৌকার কর্মীরা আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে সিল মেরে নেন। ফলে আমি নির্বাচন বর্জন করেছি।”

বেলা ১২টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের গোলাম শহীদ রনজু এবং ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী ফারুক আলম সরকার। এই দুই প্রার্থী কেন্দ্র দখল, নির্বাচনী এজেন্ট বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মেরে নেওয়ার অভিযোগ আনেন। দুইজনই তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বর্জনের ঘোষণা দেন।

কুড়িগ্রাম:

অনিয়ম, কারচুপির অভিযোগ তুলে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের (রৌমাড়ি-রাজিবপুর-চিলমারী) বিএনপি প্রার্থী আজিজুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান এইচ সরকার ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম হাবিব দুলাল ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। 

রংপুর

ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকার অভিযোগ তুলে রংপুর-১ আসনে সিংহ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিএম সাদিক 

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকার কোনো কেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যারা জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন, তাদের মারধর করা হয়েছে।

“প্রতিটি কেন্দ্রে সরাসরি পুলিশ নিজের হাতে সিল মারছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা ব্যালটে সিল মারছেন। জনগণের সিল মারার সুযোগ নেই। এ নির্বাচন একটা নাটকীয় নির্বাচন।”

এই আসনে মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ (লাঙ্গল)। এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত শাহ্ মো. রহমতুলাহ্ (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের মোক্তার হোসেন (হাতপাখা) ও এনপিপি’র ইশা মোহাম্মদ সবুজ (আম) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন