চন্দনাইশে কেন্দ্র দখলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ছাতা প্রতীকের প্রার্থী এলডিপির অলি আহমদ ও নৌকার নজরুল ইসলামের পক্ষে কেন্দ্র দখলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2018, 08:26 AM
Updated : 30 Dec 2018, 08:26 AM

রোববার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের তিনটি কেন্দ্রে গিয়ে একটিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের চিত্র দেখা গেছে।

তবে বাকি দুটি কেন্দ্রের একটি নৌকার প্রার্থীর ও অন্যটিতে ছাতা প্রার্থীর পক্ষে দখল করে ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সকাল ১০টার দিকে দোহাজারী এলাকায় জামিঝুরি আহমদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রটির বাইরে অপেক্ষমান ভোটারদের লম্বা লাইন।

এখানকার ভোটাররা অভিযোগ করেন, অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও তারা ভেতরে যেতে পারছেন না। এসময় ক্ষুব্ধ কয়েকজনকে ভোট না দিয়ে বাড়ি ফিরতেও দেখা গেছে।

এই কেন্দ্রের ভিতরে-বাইরে নৌকার সমর্থকদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা গেছে।

কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার কুন্তল বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই কেন্দ্রের মোট এক হাজার ৯২১ ভোটের মধ্যে সকাল ১০টা পর্যন্ত তিনশ ভোট পড়েছে।  

কেন্দ্রটিতে ছাতা প্রতীকের কোনো এজেন্টকে পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রের বাইরে ছাতার মার্কার নেতাকর্মীরা দাবি করেন কেন্দ্রটি নৌকার লোকজন দখলে নিয়েছে।

এদিকে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ কেওচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে লাঠিসোটা নিয়ে ছাতা মার্কার নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে আছেন। 

এই স্কুলে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছিল। স্কুলের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ভোটারদের লম্বা সারি দেখা গেছে।

এখানকার পুরুষ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সাফকাত মাহমুদ বলেন, দুই হাজার ১৫৯ ভোটের মধ্যে সোয়া ১২টা পর্যন্ত এক হাজার ৬০টি ভোট পড়েছে।

এই কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট লুৎফর রহমান বলেন, “সকালে ছাতার লোকজন এসে আমাকে তুলে নিয়ে যেতে চায়। পরে প্রিজাইডিং অফিসারের হস্তক্ষেপে আমি রক্ষা পাই।”

এই কেন্দ্রে ছাতার এজেন্ট দিদারুল আলমও পাল্টা অভিযোগ করেন, সকালে নৌকা প্রার্থীর লোকজন ‘ঝামেলা’ করেছে।

কেন্দ্রের বাইরে থাকা লোকজনের অভিযোগ, কেন্দ্রটি ছাতার নেতাকর্মীরা দখলে নিয়েছে।

এরপর উত্তর বাজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এবং স্বাভাবিক গতিতে ভোট গ্রহণের চিত্র দেখা গেছে।

এসব বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার আ ন ম বদরুদোজআর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিভিন্ন অভিযোগ পেলেও কোনো প্রমাণ পাইনি।

“সকালের দিকে কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সমস্যা হয়েছিল। পরে ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে সেগুলো ঠিক করে দেয়।”

দুটি কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করে সেগুলো ছাতা ও নৌকার লোকজনের দখলে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এরকম কিছু জানি না।”

এই আসনে দুই লাখ ৪৯ হাজার ৪৩ জন ভোটারের মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৪০২ জন পুরুষ এবং এক লাখ ১৮ হাজার ৬৪১ জন নারী ভোটার।

এখানে মোট ১০৪টি কেন্দ্রের ৫৩০টি কক্ষে ভোট নেওয়া হচ্ছে।