রোববার সকাল ১০ টার পর রাজধানীর সিটি কলেজে কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনে প্রত্যাশা করছি, বাংলার মানুষ উন্নয়নের জন্য ভোট দেবে। নৌকায় ভোট দেবে। নৌকাকে আবার বিজয়ী করবে যাতে আমরা উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।”
বিএনপি-জামায়াত মিলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়।
ওই দুই দলের সহিংসতার ফিরিস্তি তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “কয়েক মাস ধরেই এই বিএনপি-জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীরা মিলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য লেগে আছে। তারা বিদেশে প্রচণ্ড লবিং করছে।
“সবাই জানে যে, বিএনপি জামায়াতের জেতার কোন উপায় নেই। তারা আমাদের লোকদের হত্যা করে লম্বা লিস্ট দিচ্ছে।”
জয় বলেন, “তারা সন্ত্রাস করছে। কিন্তু যখন পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে, তখন তারা নালিশ জানাচ্ছে যে হয়রানি করা হচ্ছে, খামোখা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মানুষ হত্যা করবে, সন্ত্রাস করবে, আর তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না!”
যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সহযোগীদের বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। মানুষ যাকে ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। তবে আমার অনুরোধ বাংলার মানুষের প্রতি একটাই, যারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনীতি করে তাদেরকে ভোট দেবেন না।”
আওয়ামী লীগের জয়ের ব্যাপারে নিজে ‘সম্পূর্ণ’ আশাবাদী বলে মন্তব্য করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
তরুণ সমাজের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, “যারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যারা দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছে, যে দল দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ করেছে, যে প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নয়নশীল দেশ করেছে- তাদেরকে ভোট দেবেন।”