মোটরসাইকেল ব্যবহারে ইসির সম্মতি ‘পৌঁছেনি’ সিরাজগঞ্জে

নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ইসির সম্মতিপত্র হাতে পায়নি বলে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2018, 05:55 PM
Updated : 27 Dec 2018, 05:55 PM

বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার কামারুন নাহার সিদ্দীকা তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ইসির সম্মতিপত্র সিরাজগঞ্জে না আসায় মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতিপত্র গণমাধ্যমকর্মীদের আপাতত দেওয়া হচ্ছে না। 

নির্বাচনে সাংবাদিকসহ সবার মোটরসাইকেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পরে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের দাবির মুখে ভোটের দিন সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হয় ইসি। 

পেশাগত দায়িত্ব পালন এবং নির্বাচন সংক্রান্ত খবর সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত ২৫ ডিসেম্বর সম্মতি দিয়েছে। 

জেলা নির্বাচন অফিসার আবুল হোসেন বলেন, ইসির সম্মতি আসলেও সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে সবকটি উপজেলায় বা সমগ্র জেলায় অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে। সমগ্র জেলায় না দিয়ে শুধু নির্দিষ্ট উপজেলায় অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

“গণমাধ্যমকর্মীদের দুর্গম অঞ্চলে যাওয়ার প্রয়োজনে আলাদাভাবে নির্বাচনের দিনও অনুমতি দেওয়া হবে।”

আবার চরাঞ্চলে ভোটের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে মোটরসাইকেলে না গিয়ে নৌকায় যেতে হবে। সেখানে মোটরসাইকেল ব্যাবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও জেলা প্রশাসককে পরামর্শ দেন তিনি। 

পরামর্শ শুনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেই বলেন, “এখনও সময় আছে। ইসির সম্মতিপত্র এলেই তারপর দেখা যাবে।”  

গত ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনকালীন যানবাহন চলাচলের উপর নানাবিধ বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। প্রজ্ঞাপনে ২৮ ডিসেম্বর দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে নির্বাচনে এই প্রথমবার সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

এ সময় সহকারী জেলা রিটার্নিং অফিসার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আবু নুর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ও জেলা নির্বাচন অফিসার আবুল হোসেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।