মঙ্গলবার বিকালে পৌর সদর এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃংখলা বাহিনী টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে ভালুকা থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান।
আহত সাংবাদিকরা হলেন মোহনা টিভির সাংবাদিক ভালুকা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম শাহজাহান সেলিম, বাংলা টিভির জীবন খান, একুশে টিভির জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় পত্রিকার সাইফুল ইসলাম।
শাহজাহান সেলিমকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, বিকালে ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপি নেতা ফখর উদ্দীন আহম্মেদ বাচ্চুর বাস ভবনের সামনে কয়েকশ লোক দা-লাঠিসহ বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়।
“খবর পেয়ে নৌকার প্রার্থী কাজিম উদ্দীন আহম্মেদ ধনুর সমর্থকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা চৌরাস্তায় অবস্থান নেয়।
“অবস্থা বিবচনায় পুলিশ, বিজিবি, আমর্ড ব্যাটেলিয়নও মহাসড়কে অবস্থান নেয়।”
ওসি বলেন, পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দা-লাঠি নিয়ে শত শত ধানের শীষ সমর্থক বিএনপি কার্যালয়ের দিকে এগুতে থাকলে চৌরাস্তায় দুই দল মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের ছবি তুলতে গেলে হামলায় চার সাংবাদিক আহত হন।
ওসি জানান, সংঘর্ষে চার পুলিশসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর ভালুকা পৌর সদরের বিভিন্ন মোড়ে আইনশৃংক্ষলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে ওসি জানান।