রোববার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি একথা বলেন।
জামালপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এ জনসভায় ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এলাকাবাসীর কাছে ভোট চান।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের শেষ আশা ভরসার স্থল সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী মাঠে নামলে আমরা আশ্বস্ত হই, আস্থা পাই। আমরা আশা করব জনগণের এই আস্থার মর্যাদা সেনাবাহিনী রক্ষা করবে। জনগণ যা চায় তাই করবে। দেশে যেন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তার ব্যবস্থা করবে।”
মির্জা ফখরুল ভোটারদের সকাল সকাল ভোট দিয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং গণনা শেষে ভোটের ফলাফল নিয়ে বাড়ি যেতে বলেন।
নইলে ফল পাল্টে যাওয়ার আশঙ্কা করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, “ধানের শীষের জোয়ার সারা বাংলাদেশে উঠেছে; এই জোয়ার কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে এবং ধানের শীষের বিজয় হবে।”
তিনি বলেন, “আজকের আমাদের ঠাকুরগাঁও; যেখানে কোনো রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন নাই। বরং আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়ে গেছে। আমাদের এলাকার মানুষরা সব কৃষক; কৃষক ভাইদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।”
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, তাদেরকে মিটিং করতে দিচ্ছে না, কথা বলতে দিচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় তাদের নেতা-কর্মীকের আটক করছে।
“ইতোমধ্যে আমাদের ১৫ জন প্রার্থীকে আটক করে কারাগারে রাখা হয়েছে। আমাদের যারা প্রার্থী ছিলেন তাদেরকে বিভিন্ন কলাকৌশল করে আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করে দিচ্ছে।”
এটা ‘নির্বাচন নয়, প্রহসন’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের জেলা সভাপতি তৈমুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, আব্দুল হান্নান হান্নু, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মজিদুল ইসলাম, সদর থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পদাক রেজাউল করিম লিটন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস, জামালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
রোববার দিনব্যাপী মির্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও-১ আসনের আখানগর, বেগুনবাড়ি, জামালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালান এবং ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এবং আরও দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।