শুক্রবার বিকালে উপজেলার চাম্বল বাজারে এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। আর বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে ভোটে আছেন জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।
মহাজোটের আসন ভাগাভাগিতে আওয়ামী লীগ এ আসন জাতীয় পার্টিকে না ছাড়লেও পরে তারা লাঙ্গল প্রতীকে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়। মোস্তাফিজ ও মাহমুদুল দুজনই এলাকায় নিজেদের মহাজোটের প্রার্থী দাবি করে প্রচার চালাচ্ছেন।
স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওই হামলা চালায় অভিযোগ করে লাঙ্গলের প্রার্থী বলেন, তার অন্তত ২৫ কর্মী এ ঘটনায় আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসএসআই শীলাব্রত বড়ুয়া জানিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী অভিযোগ করেন, পথসভা চলার সময় পুলিশ আশেপাশে উপস্থিত থাকলেও হামলা ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
হামলায় মাহমুদুল ইসলামের ব্যক্তিগত গাড়িসহ বেশ কিছু যানবাহন ভাংচুরের শিকার হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুল হকও ফোন ধরেননি।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সব নির্বাচনে চট্টগ্রামের বাঁশখালী আসনে ধানের শীষের প্রার্থীরা জয়ী হওয়ায় বিএনপি এ আসনকে নিজেদের ‘দুর্গ’ বলেই মনে করত।
২০১৪ সালে বিএনপিবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।