শেরপুরে আ. লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থী ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Dec 2018, 02:21 PM
Updated : 17 Dec 2018, 02:22 PM

সোমবার তারা পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল এবং নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান সাংসদ প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চান। প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই প্রার্থী পরস্পর চাচা ও ভাতিজা।

দুপুরে শহরের গৃদানারায়ণপুরের নিজস্ব বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, “আমি নিরাপত্তাহীনতার ভুগছি। ইতিমধ্যেই আমার কানে এসেছে আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিবি পুলিশ আমাকে অজ্ঞাত স্থানে হয়ত বা নিয়ে যাবে। গুম করে ফেলতে পারে অথবা হত্যা করতে পারে।

“আমি যদি গুম হয়ে যাই। আমাকে যদি হত্যা করা হয়। এর জন্যে সব দায়ভার পুলিশ প্রশাসনের এবং ডিবি পুলিশের।”

তার সমস্ত পোস্টার পুলিশ ছিঁড়ে উল্টো মামলা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে অভিযোগ করে রুবেল বলেন, “আমরা এখন নিরুপায়। ডিবি পুলিশ থেকে বাঁচতে চাই। আমার বাসায় আমাকে সার্বক্ষণিক হুমকির মধ্যে রেকেছে। আমাকে যেকোনো সময় উঠিয়ে নিয়ে যাবে।”

এদিকে, বিকালে শহরের সজবরখিলার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন ফজলুল হক চান।

সংবাদ সম্মেলনে ফজলুল হক চান ধানের শীষের প্রার্থী রুবেলকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থী নিজেও একজন সন্ত্রাসী। তার গাড়িতে করে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী নিয়ে চলা ফেরা করেন।

“আমার জীবনের নিরাপত্তা নাই। আমি পুলিশের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই।”  

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বিএনপির প্রার্থী রুবেলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ডিবি পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে জনমালের নিরাপত্তা বিধান করা।  বিএনপি প্রার্থী রুবেলকে গুম ও অপহরণের প্রশ্নই আসে না।

পুলিশ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করছে না বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।