রোববার দুপুরে জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, শনিবার রাতে এ হামলায় তিনিসহ দলের অন্তত ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেন।
জলি তালুকদার বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে মোহনগঞ্জের মানশ্রী পালপাড়ায় সরকারি দলের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়।
থানায় অভিযোগ দিলেও নেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আহতদের মধ্যে জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ প্রতীমকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
লিখিত বক্তব্যে জলি বলেন, এলাকায় নির্বাচনের ন্যূনতম পরিবেশ নেই। কমিশন নিজেই অতীতের মতো একটি একতরফা নির্বাচন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়।
এসবের সুরাহা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় থাকলেও প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে তিনি জানান।
“অবাধ প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচনী কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনের পরে শহরের সাতপাইয়ের জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
তবে মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ ইকবাল সিপিবি প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের হামলা, হুমকি-ধমকিতে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নন।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি শওকত আলী বলেন, প্রার্থী জলি তালুকদার ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে জলি তালুকদার তার কয়েকজন লোক নিয়ে বসে আছেন। পরে তাকে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে উপজেলা সদরে নিয়ে আসে। তিনি থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।