শুক্রবার বিকালে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
৩০ ডিসেম্বর ভোট সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতির অগ্রগতি তুলে ধরেন তিনি।
সচিব বলেন, “ভোটের জন্য আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করতে পেরেছি। প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে শিগগিরই। ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। ব্যালট পেপারের কাজ শুরু করেছি; ভোটের ৭ দিন আগে ৩০০ আসনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট পেপার পৌঁছাতে সক্ষম হব।”
এবার ৩০০ আসনে ৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন এক হাজার ৮৪৬ জন।
সচিব বলেন, “প্রতি আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ায় ব্যালট পেপার ছাপাতে আর ঝামেলা নেই। কয়েকটি জায়গায় আদালতের নির্দেশনা আসছে। সেটা সমন্বয় করে ব্যালট পেপার তৈরি করা হবে।”
বিভাগওয়ারী বৈঠক ১৮ ডিসেম্বর থেকে
ইসি সচিব জানান, ১৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে আইন শৃঙ্খলা বৈঠক শেষে বিভাগওয়ারী মাঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা।
“আট বিভাগে মাঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন ইসি। এর বাইরে তিন পার্বত্য জেলার বৈঠক হবে ১৮ ডিসেম্বর রাঙ্গামটিতে । সেদিন চট্টগ্রাম বিভাগেরও বৈঠক হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিভাগে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিশন বসবে।”
বিচারিক ক্ষমতা যাদের হাতে
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের দাবি অনুযায়ী সেনা সদস্যদের ম্যাজেট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হবে কিনা- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠে বিচারিক ক্ষমতা থাকবে তিন ধরনের কর্মকর্তার।
এর মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ৬৫২ জন, ইলেকটোরাল এককোয়ারি কমিটিতে ২৪৪ জন সিনিয়র যুগ্ম জেলা জজ আছেন। আর জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট থাকবেন ৬৪০ জন, যারা ভোটের আগে পরে চার দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া এক হাজারের মত নির্বাহী ম্যাজিট্রেট নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা বিজিবি, র্যাব, পুলিশ সদস্যদের নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। মূলত তারাই ভোটের মাঠে বিচারিক দায়িত্ব পালন করবেন।
“ফলে আলাদা কোনো বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই,” বলেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।