নৌকার পক্ষে রাজপথে তারকামেলা

আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করার আহ্বানে রাজপথে নামলেন রুপালি জগতের এক ঝাঁক তারকা; তাদের সঙ্গে সামিল ছিলেন চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, নাট্যকর্মী, খেলোয়াড়রাও।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2018, 11:55 AM
Updated : 13 Dec 2018, 12:49 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় কভার্ডভ্যানে করে প্রচারপত্র বিলি করতে নামেন তারা।

এই প্রচারে ছিলেন জাহিদ হাসান, শাকিল খান, অরুণা বিশ্বাস, বাঁধন, নূতন, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, তানভীন সুইটি, মাহফুজ, তারিন, শামীমা তুষ্টি, এস ডি রুবেল, সায়মন।

তাদের সঙ্গে যোগ দেন নাট্যজন সৈয়দ হাসান ইমাম, কবি তারিক সুজাত, সংস্কৃতিকর্মী গোলাম কুদ্দুছও। এক সময়ের তারকা ফুটবলার সত্যজিৎ দাস রুপুও ছিলেন এই প্রচারাভিযানে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে নৌকাকে জয়ী করতে তারকাসমৃদ্ধ এই প্রচারাভিযান উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন,  “এই প্রচণ্ড রোদের মধ্যে আপনারা বসে আছেন, এটা একটা চেতনার বিষয়, আদর্শের বিষয়। এই আদর্শ, চেতনা, মূল্যবোধ আপনাদেরকে এখানে বসিয়ে রেখেছে। এতে বোঝা যায়, আগামী নির্বাচনে আমরাই বিজয়ী হব।”

নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাভূত করবে সাংস্কৃতিক চেতনা- এই আশাবাদ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ নেতা কাদের।

“আজকে শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের সবাই বসে আছেন একটি চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে। আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন এখন মরাগাঙ নয়। সারাদেশের নৌকার যে গণজোয়ার তা আছড়ে পড়ছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। নবমুকুটে তারা আবার পরাজিত করবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে, আমরাই আবার বিজয়ী হবো।”

মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে আবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ের মাসে পরাজিত করার শপথে প্রচারে নামার আহ্বান জানান তিনি।

“একাত্তর সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিকে পরাজিত করেছি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেও আমরা এই পরাজিত শক্তিকে পরাজিত করার শপথ নিয়েই প্রচার শুরু করব, এই হবে আজকে আমাদের শপথ।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলার মাটিতে আজও সে সমস্ত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আছে , তাদের মধ্যে জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অনেকেই বাই চান্স মুক্তিযোদ্ধা।”

একাত্তরের মতো ২০১৮ সালেও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নৌকার জোয়ার উঠেছে বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সাংস্কৃতিক অঙ্গন আজ জেগে উঠেছে নব জোয়ারে। ১৯৭১ সালের মত সংস্কৃতি অঙ্গন ২০১৮ সালেও জেগে উঠেছে। আসুন, বিজয়ের মাসে আমরা আরেকটি বিজয় ছিনিয়ে আনব।”

বিএনপি শিবিরে ‘গণভাটা’ পড়েছে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “একদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গণজোয়ার শুরু হয়েছে, আরেক দিকে বিএনপিতে গণভাটা। নির্বাচনের দিন যতই এগুচ্ছে তারা ততই পরাজয়ের দিকে যাচ্ছে।”

বক্তব্য শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় প্রচারাভিযান শুরু হয়। এই শোভাযাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেইট, জাতীয় সংসদ ভবন হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর গিয়ে শেষ হয়।

আটটি ট্রাক থেকে দেশের তারকা শিল্পীরা সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের প্রচারপত্র বিলি করেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরের উন্নয়নচিত্র।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।