তিনি বলেছেন, “এটা বলার এবং বোঝার অপেক্ষা রাখে না যে ইতোমধ্যেই নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।
“শুধু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে এই পরিবেশ যেন উত্তপ্ত না হয়। উত্তপ্ত হয়ে নির্বাচনী পরিবেশ যেন ব্যাহত না হয়, ব্যাঘাত না ঘটে।”
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা বিচারিক হাকিমদের সঙ্গে সভায় একথা বলেন নূরুল হুদা।
অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এবার সব দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় নিজের আশা পূরণের কথা এর আগে জানিয়েছিলেন নূরুল হুদা।
সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হওয়ায় সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। তবে প্রথম দিনে কয়েকটি জেলায় সহিংসতার পর মঙ্গলবার আরও বেশি স্থানে সংঘাত ঘটেছে।
সিইসি বলেন, “সব রাজনৈতিক দল একটি পজিটিভ মনোভাব নিয়ে নির্বাচন শুরু করে দিয়েছে। এত বড় নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। আপনারা যখন মাঠে যাবেন, আর কোনো সংঘাত ঘটবে বলেও মনে করি না। আপনারা সফল ও সার্থক নির্বাচন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।”
এবার নির্বাচনে প্রতি আসনে গড়ে প্রার্থী থাকছেন ছয়জনের বেশি। ভোটের আগে ২৮ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত আচরণবিধি মেনে সব ধরনের প্রচার চালাতে পারবেন তারা।
প্রচারণার শুরু থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি।
ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য বিচারিক হাকিমদের নির্দেশ দেন সিইসি।
তিনি বলেন, “সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করা, যেন কোনো সংঘাত না হয়, ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সবাই যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন, সেটা বুঝিয়ে দেওয়া। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
মানুষের মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্ব দিয়ে সিইসি বলেন, “মানুষ যেন ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে, সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার আছেন ১০ কোটি ৪২ লাখের বেশি। তিনশ আসনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন।
সিইসি বলেন, “একটা জিনিস মনে রাখতে হবে নির্বাচনের পরের দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের আগের দিন ও নির্বাচনের দিনে যতটা না সংঘাত হয়, তার থেকে বেশি সংঘাত হয় নির্বাচনের পরের দিন। অতি উৎসাহী কিছু লোক ও প্রতিহিংসাপরায়নের কারণে এসব হয়ে থাকে।
“নির্বাচনী আইনে আছে নির্বাচনের পরের দিন কোনো শোডাউন হবে না। এটাকে কঠোরভাবে দেখতে হবে।”
কালো টাকার প্রভাব ‘বন্ধ করতে হবে’
আইনানুগ নির্বাচনের কথা মুখে না বলে কাজে করে দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
সভায় তিনি বলেন, “কালো টাকা আর পেশিশক্তির প্রভাব খাটানো বন্ধ করতে হবে।”
নির্বাচনের উৎসব যেন কোনো অবস্থাতেই প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়, সেজন্য হাকিমদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, “আইনের চোখ বাঁধা থাকলেও অন্তরের চোখ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য কাজ করতে হবে।”
পুরনো খবর: