চেম্বার আদালতে আটকে গেল টুকু ও দুলুর ভোটযাত্রা

হাই কোর্টের আদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ ফের আটকে গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2018, 09:18 AM
Updated : 11 Dec 2018, 10:32 AM

ফলে অন্য প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে গেলেও এই দুই সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আপাতত ভোটের মাঠে নামা হচ্ছে না।  

হাই কোর্ট টুকু ও দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার আদেশ দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিল নির্বাচন কমিশন।

সেই আবেদনের শুনানি করে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী মঙ্গলবার হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। সেই সঙ্গে ইসির আবেদনটি বুধবার শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।  

চেম্বার আদালতে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর পক্ষে শুননি করেন আজমালুল হোসেন কিউসি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেলমাহবুবে আলম।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে টুকু সিরাজগঞ্জ-২ আসনে এবং দুলু নাটোর-২ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশনে আপিলেও সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।

নির্বাচন কমিশনে আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ার পর টুকুর আসনে তার স্ত্রী রুমানা মাহমুদ এবং দুলুর আসনে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচন কমিশনে তালিকা পাঠায় বিএনপি।

এই অবস্থায় হাই কোর্টে গিয়ে নিজেদের পক্ষে আদেশ পান সাবেক বিএনপি সরকারের এই দুই প্রতিমন্ত্রী।

তাদের রিট আবেদনের  শুনানি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।

পাশাপাশি দুলু ও টুকুর মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ওই দুই আসনে দলের কোনো বিকল্প প্রার্থী থাকলে এবং তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চাইলে সেই সুযোগও দিতে বলা হয়।

হাই কোর্টের আদেশের পর টুকুর আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি বলেছিলেন, “ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়েছিলো। হাই কোর্টে আপিল করে তিনি খালাস পান। পরে দুদক আপিল করলে আপিল বিভাগ পুনশুনানির জন্য মামলাটি হাই কোর্টে ফেরত পাঠায়।

“হাই কোর্টে ২০০৯ সালে যখন এসেছিলাম, তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে কনভিকশন ও সেনটেন্স সাসপেন্ড করেছিলেন হাই কোর্ট। এ অর্ডারটা এখনো বহাল আছে। এর প্রেক্ষিতে আজকে জিতলাম।”

আর দুলুর অন্যতম আইনজীবী সৈয়দ আল আশাফুর আলী রাজা বলেছিলেন, “আজকের আদেশের ফলে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই। নিম্ন আদালতে উনার দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনে দণ্ড হয়েছিল। সেটা হাই কোর্টে সাসপেন্ড হয়ে আছে।”