সোমবার দুপুরে বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেন, “ঠিক মূল্যায়ন বলতে যা বুঝায় তা নয়..... কর্মীরা সন্তুষ্ট নয়, আমরাও সন্তুষ্ট নই বলা যায়। ব্যক্তিগতভাবেও সন্তুষ্ট নই।”
জাপা মহাসচিব বলেন, “এক পরিবারে থাকলে গণ্ডগোল হতে পারে। তারপরও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার স্বার্থে মিলেমিশে থাকতে হয়।”
৫০টি আসনের প্রত্যাশা থাকলেও রোববার বিকালে জাতীয় পার্টি জানায়, মহাজোট থেকে তারা ২৯টি আসন পাচ্ছে। এছাড়া ১৩২টি ‘উন্মুক্ত’ আসনে তারা লাঙ্গল প্রতীকে নিজেদের প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করে। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে আরো ১৫ জন নেতা নির্বাচন করার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানায় জাপা।
পরে দেখা যায়, মহাজোট থেকে পাওয়া জাপার তিনটি আসনেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী রয়েছে। এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন জাপার নেতারাও।
অন্যদিকে জোটের বাইরে জাতীয় পার্টি এত প্রার্থী দেওয়ায় ক্ষোভ এবং উদ্বেগ রয়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে।
আসন ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান রাঙ্গাঁ।
“একসময় কথা হচ্ছিল ৫৪টি নিয়ে, তা এখন কমতে কমতে ২৬ এ নেমে এসেছে। কারণ হচ্ছে, আমরাও দিচ্ছি, ওনারাও প্রার্থী দিচ্ছেন। আসন বন্টন ইস্যুতে আলোচনা চলছে। তবে তা মাঝেমধ্যে উলটপালট হয়ে যাচ্ছে।মাঝখান থেকে কে এই প্রবলেম সৃষ্টি করছে, আমি জানি না।”
সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়েছে।
রাঙ্গাঁ বলেন, “আজকে মার্কা দেওয়া হয়ে যাবে। আজকে বিকালে ফাইনালি জানা যাবে, কটা (আসন) থাকল আমাদের।”
পরে তিনি জানান, ঢাকা-১৭ আসনে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছে।
‘অসুস্থ’ এরশাদ নিজে মাঠে নামতে না পারলেও তার পক্ষে এই প্রচারের দায়িত্ব সামলাবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী।