রোববার মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ঢাকার রিটার্নিং কর্মকর্তা কে এম আলী আজম এই তথ্য জানিয়েছেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রায় প্রতিটি আসনে একটি দল কিংবা জোটের একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
এদের মধ্যে একজনের নাম চূড়ান্ত করে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এরপরও বিভিন্ন আসনে দলগুলোর একাধিক প্রার্থী রয়ে গেছে।
এক্ষেত্রে কী হবে- জানতে চাইলে নির্বাচনী দায়িত্বে আসা ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার আলী আজম সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো কোনো আসনে এখনও একই দলের একাধিক প্রার্থী রয়েছে।
“ওই সব দল তাদের একক প্রার্থী রেখে নির্বাচন কমিশনে যে তালিকা পাঠাবে, সেই তালিকার বাইরে থাকা প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র নিজে প্রত্যাহার না করলেও প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইসিতে যে তালিকা পাঠিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ২৭২ জন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। এছাড়া দুজন জাতীয় পার্টি-জেপির প্রার্থী। বাকিগুলো জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে তারা।
অন্যদিকে বিএনপি জানিয়েছে, তাদের দলীয় প্রার্থী ২৪২ জন। বাকি আসনগুলো জোটের অন্য দলগুলোকে ছেড়ে দিয়েছে তারা।
দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর ঢাকা মহানগরীর ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টিতে ২৩ জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আলী আজম।
তিনি জানান, ঢাকা মহানগরীর ১৫টি সংসদীয় আসনে ২১৩টি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছিল। এরপর আদালতের নির্দেশে আরও দুটি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। বাছাই শেষে ১৬১টি বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
“রিটার্নিং অফিস থেকে বাতিল হয়ে যাওয়া ৫২টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ২৮ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে তাদের মধ্যে ১০ জন প্রার্থিতা ফিরে পান।”
এরপর ১৭১ জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর এখন ১৪৮ জন প্রার্থী রয়েছেন বলে জানান তিনি।