নগরীর চান্দগাঁও এলাকা ও পাশের বোয়ালখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন থেকে ২০০১ সালে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে চারদলীয় জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মোরশেদ খান।
অপরদিকে এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া সুফিয়ান গত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দলীয় কর্মসূচি আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিলেন তিনি।
এই আসনে জাসদ নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হচ্ছেন। আওয়ামী লীগের জোট শরিক হিসেবে নির্বাচন করে ২০০৮ সালে মোরশেদ খানকে পরাজিত করেন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সাংসদ হন বাদল। এবার তাকে লড়তে হবে বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ানের সঙ্গে।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি জমা দিয়ে সুফিয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।”
সুফিয়ান ও মোরশেদ খান ছাড়াও এই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা ও বিজিএমইএ’র সাবেক সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান তারা দুজনই। শনিবার ওই সিদ্ধান্ত আসার পর চট্টগ্রামের এই আসনে মোরশেদ খানকে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে বলে কথা ছড়ায়। সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি।
তবে রোববার নির্বাচন কমিশনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন জানানোর শেষ দিনে দলের চিঠি পান আবু সুফিয়ান।
মোরশেদ খান ও এরশাদ উল্লাহ তার পক্ষে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সুফিয়ান।
তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “উনারা প্রত্যাহার না করলেও আমি প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দেওয়ার পর তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে।”
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোরশেদ খান ও এরশাদ উল্লাহ তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।