ভোট করা হচ্ছে না খালেদা জিয়ার

রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিলে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন খালেদা জিয়া; এতে তার ভোটে অংশ নেওয়ার পথ ‍খুলবে বলে আশায় ছিলেন বিএনপি নেতারা।

মঈনুল হক চৌধুরীও কাজী নাফিয়া রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2018, 12:03 PM
Updated : 8 Dec 2018, 02:33 PM

কিন্তু সেই আপিলও টেকেনি; শনিবার সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ইসির এই সিদ্ধান্তের ফলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকল না কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের।

অবশ্য ইসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার পথ খোলা রয়েছে খালেদা জিয়ার, যাবেন বলে বিএনপির আইনজীবীরাও জানিয়েছেন। কিন্তু দুই বছরের বেশি সাজায় দণ্ডিতদের নির্বাচন করার পথ যে বন্ধ, তা ইতোমধ্যে আদালতেরই আদেশে এসেছে।

তিন যুগ আগে খালেদা জিয়া দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তাকে ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন করতে হচ্ছে বিএনপিকে। এই অবস্থাকে ‘দুর্দিন’ হিসেবে দেখছেন দলটির নেতারা।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজার রায়ের পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন ৭২ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। এর মধ্যে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।

তখন থেকে বিএনপির আইনজীবীরা বলে আসছিলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন খালেদা।

কিন্তু সম্প্রতি বিএনপির কয়েকজন নেতার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের এই আদেশে দণ্ডিতদের নির্বাচন অংশ নেওয়া আটকে যায়।

হাই কোর্টের আদেশে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।

তার মধ্যে হাই কোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ভিন্ন আদেশ দিলেও আপিল বিভাগে গিয়ে তা আটকে গেলে দণ্ডিতদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ আর খোলেনি।

এর মধ্যে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের সময় দণ্ডের কারণ দেখিয়ে তা বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

খালেদা জিয়ার মনোনয়ন ফরম বিক্রির মধ্য দিয়ে বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রম

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই তিনটি আসন থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন খালেদা; তার আগে ১৯৯১ সাল থেকে পরের তিনটি নির্বাচনে পাঁচটি আসনে ভোট করে সবগুলোতে জয়ী হয়ে আসছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

রিটার্নিং কর্মকর্তারা এবার মনোনয়নপত্র বাতিল করলে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, ভোটের দায়িত্বে আসা সরকারি ওই কর্মকর্তারা ‘সরকারের ইঙ্গিতেই’ ওই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

ইসিতে আপিলে ‘ন্যায়বিচারে’ দলীয় চেয়ারপারসন প্রার্থিতা ফিরে পাবেন বলে শনিবার দুপুরেও এক সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তার মধ্যেই নির্বাচন ভবনে সিইসি কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন আপিল কর্তৃপক্ষ খালেদার আবেদনের শুনানি নেয়। এতে খালেদার পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।

শুনানির সময় সিইসি নূরুল হুদা খালেদার আইনজীবীকে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য তুলে ধরতে বলেন। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামও বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান আইনজীবীর কাছে।

শুনানি শেষে ইসি খালেদার বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিকালে পুনরায় শুনানি নিয়ে দেবে বলে জানায়।

এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়ে জানিয়ে আসে, কোনো চাপের মুখে যেন সাংবিধানিক সংস্থাটি নতি স্বীকার না করে।

এরপর সন্ধ্যায় ইসি সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় যে খালেদা জিয়ার তিনটি আবেদনের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তই বহাল।

সিদ্ধান্ত এল ভোটে

সিইসি নূরুল হুদার নেতৃত্বে পুরো কমিশন এই শুনানি নেয়। সিইসি ও তিন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আপিল আবেদন নামঞ্জুর করেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন মঞ্জুরের পক্ষে মত দেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ কমিশনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।

আপিল শুনানির শেষ দিনে খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের আদেশ নিয়ে তৎপর ছিল ইসি।

বেলা সাড়ে ১২টার পরে ২২ মিনিটে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি করা হয়। এরপর তা বিকাল পর্যন্ত ঝুলিয়ে রেখে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় কমিশন।

এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ৩টার দিকে এসে ইসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে যায়।

খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানির পর ইসিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল

বেলা ৩টার দিকে শুনানি শুরুর কথা ছিল ইসির। কিন্তু সিইসির কক্ষে চার নির্বাচন কমিশনার ফের বসেন।

তাদের এ বৈঠক শেষে সাড়ে ৩টার পরই আপিলের মুলতবি শুনানি শুরু হয়। তবে শুরুতে খালেদার আবেদন ধরা হয়নি।

নির্বাচন ভবনের ১১ তলার আপিল শুনানি কক্ষে এসময় খালেদার প্রধান কৌঁসুলি এ জে মোহাম্মদ আলীসহ অন্তত একডজন আইনজীবী ছিলেন।

চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির আসলাম চৌধুরীর আপিল আবেদন মঞ্জুর করে তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণার পর খালেদার শুনানি ফের শুরু হয় সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে।

মোহাম্মদ আলী যুক্তি উপস্থাপনের এক পর্যায়ে বলেন, “আমি ক্লিয়ার করার আগেই আপনি (সিইসি) অর্ডার দেন কেন? আমাকে একটু বলতে দেন। আপিল বিভাগের জাজমেন্ট শুনবেন না? আমি না বলার আগে জাজমেন্ট শেষ করে দিচ্ছেন কেন?”

তখন উপস্থিতিদের পক্ষ থেকে আপিল আবেদনের আদেশ ঘোষণার তাড়া দিতে শোনা যায়।

এ পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মঞ্চের সামনে থাকা মাইক কাছে টেনে নিয়ে বলতে শুরু করেন আপিলের আদেশ।

শুরুতেই তিনি বলেন, “এটা আমার রায়।” এরপর তিনি বলেন, “আইনগত বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন মঞ্জুর করার পক্ষে আমি রায় প্রদান করিলাম।”

তার কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপির আইনজীবীরা তালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে করতে পুরো রায় না শুনেই বেরিয়ে আসেন। তারা বলতে থাকেন- ‘আমরা রায় পেয়ে গেছি, রায় মঞ্জুর করেছে কমিশন, ম্যাডাম নির্বাচন করতে পারবেন’।

তখন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আইনজীবিদের উদ্দেশে বলেন, “এটি ফুল কমিশনের রায় নায়, একজন কমিশনারের রায় ... ” “

ততক্ষণে বিএনপির আইনজীবীরা এজলাস কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।

ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনসহ আওয়ামী লীগের আইনজীবীদের অনেকে ছিলেন সেখানে। পক্ষ-বিপক্ষে উঁচু স্বরের কথাবার্তায় হট্টগোলের রূপ নেয়।

কমিশন পুরোপুরি শান্ত হলে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের আদেশ পড়ে শোনানো হয়।

সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিভিন্ন ধারা তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মনোনয়নপত্র বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখার পক্ষে মত দেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ঘিরে নির্বাচন ভবনে জয়নুল আবেদীনসহ বিএনপির আইনজীবীরা

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম নিজের আদেশ ঘোষণা করেন এভাবে- “সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত ও খালেদা জিয়ার দণ্ড বহাল থাকায় আপিল আবেদন আমি নামঞ্জুর করলাম।”

এরপরই নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীও ‘আপিল আবেদন না মঞ্জুর করলাম’ বলে ঘোষণা দেন।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম নিজের অবস্থান তুলে ধরার আগে আইনগত বিষয়াদি বিশ্লেষণ করেন।

তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার মামলা রয়েছে এবং তাকে দণ্ডপ্রাপ্ত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আইনজীবীরা আরপিওর যেসব রেফারেন্স দিয়েছে, সেটা অমিশন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আমরা তার (খালেদা জিয়ার) আপিল আবেদনটা নামঞ্জুর করছি।”

সবশেষে সিইসি নূরুল হুদা একীভূত আদেশ তুলে ধরার পাশাপাশি নিজের অবস্থান জানান এভাবে- “তিনজন মাননীয় কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী যে বক্তব্য দিয়েছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে দণ্ড বহাল রয়েছে, সে কারণে আমিও এ আপিল নামঞ্জুর করে দিলাম।”

৫ সদস্যের কমিশনের পুরো আদেশ এরপর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন পড়ে শোনান।

তিনি বলেন, “যেহেতু তিনজন নির্বাচন কমিশনার এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন আপিল আবেদন নামঞ্জুর করেছেন; সেহেতু খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন নামঞ্জুর করা হল। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে ৪:১ এর ভিত্তিতে (চারজন নামঞ্জুর, ১ জন মঞ্জুর) আপিল নামঞ্জুর হল।”

এসময় হর্ষধ্বনি দিয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা।

মাহবুব তালুকদারের রায়ই ঠিক: বিএনপি

মাহবুব তালুকদারের সিদ্ধান্ত জেনে বেরিয়ে আসছেন মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ বিএনপির আইনজীবীররা

খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বাইরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, “খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। উনার নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার রায় দিয়েছেন, তিনি (খালেদা জিয়া) অংশ নিতে পারবেন।”

পুরো কমিশনের রায় না শুনে শুধু একজনের আদেশ গ্রহণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা জাজমেন্ট শুনে চলে আসার পর আমাদের অনুপস্থিতিতে কী হয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। সেটা হওয়ার আইনগত কোনো সুযোগও নেই। আপিল আবেদন যে নামঞ্জুর হয়েছে, তা আমাদের জানার বাইরে।”

মাহবুব তালুকদার যখন আদেশ দিচ্ছিলেন, তখন পুরো কমিশন ‘নিশ্চুপ ছিল’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

“এতেই প্রমাণ করে যে, তারা রায়ের সঙ্গে একমত ছিলেন। মাহবুব তালুকদারের রায়ই আমাদের কাছে রায়।”

বিএনপির আরেক আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, “মাহবুব তালুকদার রায় দিয়েছেন, আর কোনো বাধা নেই ম্যাডামের ভোটে অংশ নিতে।…মাহবুব তালুকদারের রায়টিই ফেয়ার ও লিগ্যাল জাজমেন্ট।”

পুরো কমিশনের রায়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “একবার রায় হওয়ার পর দ্বিতীয়বার রায় ঘোষণার কোনো সুযোগ আছে কী? বেগম জিয়ার মনোনয়নপত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।”

ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার আভাসও দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক খোকন।

তিনি বলেন, “আদেশের আইনগত এক্সামিন করে উচ্চ আদালতে যাব কি না বলব। যদি ন্যায়বিচার হয়, তাহলে উচ্চ আদালত এটা বৈধ করবে।”

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল বলেন, “আগে আদেশে কপি পেয়ে নিই; তারপর কী করা যাবে দেখব।”

এটাই বৈধ: আওয়ামী লীগ

খালেদা জিয়ার আপিল নামঞ্জুরে খুশি আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা জানাচ্ছেন প্রতিক্রিয়া

শুনানি কক্ষ থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগের আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন কমিশনার একজন ছাড়া সবাই নামঞ্জুর করেছে। এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই, চিৎকার করার কিছুই নেই। এটা সবাই মেনে নিতে বাধ্য।”

“তিনি (খালেদা) নির্বাচন করতে পারবেন না, এটাই বৈধ,” বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

খালেদার আসনে কী হবে?

নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়াকে দলের প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

খালেদার তিনটি আসনে বিএনপি ইতোমধ্যে বিকল্প প্রার্থী ঠিক করে রেখেছে।

ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, ফুলগাজী) আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে রেখেছেন। ওই আসনে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।

বগুড়া-৬ (সদর) আসনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে রেখেছেন। এই আসনে মহাজোটের প্রার্থী আছেন জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর।

বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাহজাহানপুর) আসনে গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টনের মনোনয়নপত্র জমা হয়েছিল। প্রথমে তা বাতিল হলেও আপিল করে তিনি টিকে গেছেন। এই আসনেও মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির আলতাফ আলী।