বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বুধবার মির্জা ফখরুল স্বাক্ষরিত তিনটি চিঠি ইসি সচিবের কাছে পৌঁছে দেন।
চিঠিগুলোর একটিতে বিএনপি মহাসচিব দুই বা ততোধিক দলের জোট একক প্রতীকে ভোট করলে চূড়ান্ত মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য কখন কী করতে হবে তা স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
কোনো কোনো আসনে জোটের একাধিক প্রার্থী থাকলে প্রতীক বরাদ্দের সময় কী হবে, তা জানতে চেয়েছেন তিনি।
ফখরুল লিখেছেন, “কোনো একটি বৈধ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দের জন্য পত্র দিলে জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর বৈধ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে কি না? অথবা একজনকে বিএনপি ধানের শীষ দেওয়ার জন্য বলা হলে জোটের অন্য দলের বৈধ প্রার্থীকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে কি না?”
ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবে এমন ১১টি দলের তালিকাও ইসিতে জমা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি ছাড়াও গণফোরাম, জেএসডি, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ, এলডিপি, বিজেপি, খেলাফত মজলিস, জাগপা, কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থীরা ধানের শীষের প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এছাড়া প্রায় প্রতিটি আসনে বিএনপিরও একাধিক নেতা দলীয় প্রত্যয়ন নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীর নাম কোন তারিখের মধ্যে দিতে হবে, তা জানতে চান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার ওই চিঠির পরই ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত মনোনয়নের কথা জানাতে নিবন্ধিত দলগুলোকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া ভোটের মাঠে সমান সুযোগ নিশ্চিতে নেতাকর্মীদের ‘গায়েবি মামলা’র অজুহাতে আটক, গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়ার জন্যও নির্বাচন কমিশনকে চিঠিতে অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
চিঠি পৌঁছে দেওয়ার পরে আলাল সাংবাদিকদের বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাম্পার ফলন শুরু করেছে। সর্বশেষ আমাদের একজন মহিলা কমিশনার ও নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোম্পানিঞ্জে মওদুদ আহমদের গাড়িতে সশস্ত্র হামলা করা হয়েছে।”
যাচাই-বাছাইয়ে যাদের প্রার্থিতা রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন, তাদের আপিলের শুনানি অতি দ্রুত করার জন্যও আবেদন করেছে বিএনপি।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, “৯ তারিখ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। এক্ষেত্রে ৮ তারিখে শুনানি শেষ হলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।
“তাই ৬ ও ৭ তারিখের মধ্যে দ্রুত করার জন্য অথবা নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব বিবেচনাপ্রসূত কোনো পদ্ধতিতে অতি দ্রুত সম্পন্ন করলে প্রার্থীদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।”
শুনানি যেন ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত না গড়ায় সেজন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান আলাল।