একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর মঙ্গলবার গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, “আলোচনা চলছে, দুই-একদিনের মধ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।”
বিএনপি তাদের ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত শরিক দলগুলোকে ৬০টির মতো আসন ছেড়ে দিতে পারে বলে ফখরুল এর আগে আভাস দিয়েছিলেন। এর মধ্যে নিবন্ধনহীন জামায়াতে ইসলামীর নেতাদেরও ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করার সুযোগ দিচ্ছে তারা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নানা বাধা, প্রতিকূলতা, গ্রেপ্তার-মামলার পরও তারা নির্বাচনে অংশ নিতে ‘দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’।
“গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। সকল রাজবন্দির মুক্তি চাই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই।
“দেশের মানুষ বার বার সংগ্রাম করে, লড়াই করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এবারও তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, “নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। নির্বাচন কমিশন এমন একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যার প্রতি মানুষ ন্যূনতম আস্থাও হারিয়ে ফেলছে। তারা শুধু সরকারের যে ইচ্ছা, সরকারের যে নকশা, তা বাস্তবায়িত করবার জন্য কাজ করছে।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘মনোনয়ন বাণিজ্যের রেকর্ড’ গড়ার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “উনার বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তিনি তো অনেক কথাই বলছেন, বলে যাচ্ছেন।
“মনোনয়ন বাণিজ্যর অভিজ্ঞতা আওয়ামী লীগেরই ভালো। তাদের মহাজোটের শরিক একটি দলের নেতার চাকরিও (পদ) গেছে এই বাণিজ্যের অভিযোগে। ফলে এ নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।”
সম্প্রতি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদ থেকে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে বাদ দিয়ে তার মশিউর রহমান রাঙ্গাকে মহাসচিব নিয়োগ দেন দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।