ইসির কাছে ‘ন্যায় বিচার’ পাওয়ার আশা রনির

মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে এসে সদ্য আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে নাম লেখানো গোলাম মাওলা রনি আশা করছেন তিনি কমিশনের কাছে ‘ন্যায় বিচার’ পাবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2018, 08:58 AM
Updated : 3 Dec 2018, 08:58 AM

সোমবার নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর রনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, এই নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড আছে। তারা সরকারের তল্পিবাহক নন। নির্বাচন কমিশন জুডিসিয়ারি বোর্ড। আমি এখানে বিচারপ্রার্থী। আশা করছি সুবিচার পাব।”

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের জন্য জমা পড়া ৩০৬৫টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে রোববার বাছাইয়ে বাদ পড়ে ৭৮৬টি।

হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, তাতে ‘ভুল করে’ স্বাক্ষর দেওয়া হয়নি বলে জানান ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকেটে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া রনি।

“প্রথমত এটা একটা জেনারেল মিসটেক ছিল। এ সাধারণ মিসটেকের কারণে, এই ভুলের কারণে অতীতে কখনও কোনো মনোনয়ন বাতিল হয়নি।”

তিনি নির্বাচনী আইনের উদাহরণ দিয়ে বলেন,  “গুরুতর নয়, এমন ত্রুটি ধরা পড়লে আমি সংশোধনের সুযোগ পাব- আইনে বলা রয়েছে তা। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছিলাম ভুল সংশোধন করার জন্য। কিন্তু আমাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।”

রনির সঙ্গে খেলাপি ঋণ থাকায় একই আসনে বিএনপি মনোনীত আরেক প্রার্থী শাহজাহান খানের মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে।

দুইজনের মনোনয়ন বাতিলের পর পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে টিকে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন।

এই আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া মোট ছয় প্রার্থীর মধ্যে হাসান মামুনের সঙ্গে বাকী তিনজনের মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এসএম শাহাজাদা, জাতীয় পার্টির মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ কামাল খান।

ছাত্রলীগের সাবেক স্থানীয় নেতা এসএম শাহাজাদা বর্তমান সিইসি কে এম নূরুল হুদার ভাগ্নে।

১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে পটুয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন।জরুরি অবস্থার পর তিনি সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর ২০০৮ সালে তাকে বাদ দেওয়া হয়। রাজনীতিতে অচেনা রনি সেবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তবে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাহাঙ্গীরকে ফিরিয়ে আনে দলে। সেবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীরের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়াইয়ে নেমে হেরে যান রনি।

এরপর আওয়ামী লীগে রনিকে সক্রিয় দেখা না গেলেও টিভি আলোচনা অনুষ্ঠানে নিয়মিত মুখ তিনি।