গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এবার রৌমারি, রাজিবপুর ও চিলমারী নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
কিন্তু রোববার কুড়িগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ইমরানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল হলে প্রার্থীরা তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারেন। সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে এসে সেই আবেদন করেছেন এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করা ইমরান।
সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “যে অজুহাতে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে, তাহলে আমার মনে হয় না কারও মনোনয়ন টিকবে। আমার আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, তাদের সকলের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বিভিন্ন অজুহাতে।”
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সবার জন্য সমান সুযোগের প্রতিশ্রুতির ‘বরখেলাপ’ করেছে বলেও অভিযোগ করেন ইমরান।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কি আমরা জানি না। যারা সাধারণ নাগরিক, যারা দলের বাইরে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ছিলেন, তাদের নিরুৎসাহিত করা হল।”
যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে ইমরান এইচ সরকার বাংলাদেশে পরিচিত মুখ।
রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নেওয়া ইমরান ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগে যুক্ত ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি ক্ষমতাসীনদের বিরাগভাজন হন।
নিজের মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেখা গেল ১ থেকে ২৯০০ নম্বরের ভোটার তালিকা। আমি ২৮৯১ পর্যন্ত ঠিক দিলাম.... পরে দেখা গেল ক্রমে ১৫৬ হয়ত দুবার এসেছে, দেখা গেল ১৫৮ না হয়ে ১৫৯ হয়েছে। এটা মাইনর ত্রুটি। সিইসি বলেছিলেন, তিনি এই মাইনর ত্রুটি গণনা করবেন না। অথচ ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।”
প্রয়োজনের চেয়ে ৫০০ বেশি স্বাক্ষর নিয়েছিলেন দাবি করে ইমরান বলেন, “দাখিলের সময় বলেছিলাম, আমি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দাখিল করি। যদি দুই একটা কম বেশি হয়। সেটা কিন্তু তারা নেয়নি। তাৎক্ষণিক সংশোধনের সুযোগ ছিল, সেটাও তারা আমাকে দেয়নি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”