ভোটকে সামনে রেখে অপপ্রচার ঠেকাতে প্রশাসনের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও সোশাল মিডিয়ায় নজরদারি শুরু করতে যাচ্ছে।
Published : 02 Dec 2018, 05:09 PM
রোববার টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, “প্রশাসন ইতিমধ্যে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং শুরু করেছে। আমরাও সোমবার থেকে মনিটরিং করব। এজন্য আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শাখার (আইসিটি) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি নিজস্ব মনিটরিং টিম করা হবে। এই টিম প্রশাসনের টিমের পাশপাশি কাজ করবে; থাকবে গোয়েন্দা নজরদারিও।”
ভোট নিয়ে প্রপাগান্ডা, গুজব, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বানচাল করার উদ্দেশ্যে ফেইসবুকসহ সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার ঠেকাতে গত ২৬ নভেম্বর ইসি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে। রোববার মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে; ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়।
১০ ডিসেম্বর প্রতীক পেয়ে প্রচারে নামবেন প্রার্থীরা।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন জানান, সোশাল মিডিয়া যেন নির্বাচন কেন্দ্রিক অপব্যবহার না হয়। কোনো প্রপাগান্ডা যেন কেউ না চালাতে পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে রোববারের বৈঠকে।
“আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেউ যেন নির্বাচন নিয়ে কোনো ফেইক নিউজ না করতে পারে। জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে কেউ যাতে ফেইক নিউজ না করে। ফেইক নিউজের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেব।
“কেউ যদি প্রপাগান্ডা চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ইসির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থাও দেখবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও অন্যান্য আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপপ্রচার রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য আমরা বিজ্ঞাপনও প্রচার করব।”
মোবাইল ফোন অপারেটর, বিটিআরসি ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের সঙ্গে বৈঠকের এক সপ্তাহের মধ্যে ফের এ বৈঠক করল ইসি।