রোববার জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেন।
এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করা ইমরান এবার রৌমারি, রাজিবপুর ও চিলমারী নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
ইমরান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি হিসাব করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়েছিলাম। তবে সমর্থনের এই তালিকায় সিরিয়াল এলোমেলো হয়েছে মর্মে তা বাতিল করা হয়েছে। এটি সংশোধন যোগ্য। আমি এ বিষয়ে আপিল করব। ”
কুড়িগ্রামে চারটি সংসদীয় আসনে ৫৭ জন প্রার্থীর নথি যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করার কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সুলতানা পারভীন।
এর মধ্যে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিভিন্ন দলের ২৩ প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায়, জাকের পার্টির শাহ আলমের হলফ নামায় স্বাক্ষর না থাকায়, গণফোরামের মাহফুজার রহমানের দলীয় প্রত্যয়নপত্র না থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
এই আসন থেকে ১১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর যথাযথভাবে দাখিল করতে না পারায় তাদের ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল হক মণ্ডল ও জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির বিদ্রোহী ঈমান আলী ও শাসসুল হক মৌলভী, জাপার বিদ্রোহী ইউনুছ আলী, জামাতের আবুল হাসেম ও মোস্তাফিজুর রহমান, বাবুল খান ও আবিদ আলভী জ্যাপের প্রার্থিতাও বাতিল হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম-১ আসনে দশ জনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান গনির মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
কুড়িগ্রাম-২ আসনে জমা পড়া ১৫ জনের মধ্যে চার জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী সফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু সুফিয়ান ও জাসদের ছলিমুল্লাহ ছলির প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর তিন বছর পূর্ণ না হওয়ায়। আর সমাধান ঐক্য পার্টির নামে মনোনয়ন জমা দেওয়া আব্দুল হাই সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে দলের নিবন্ধন না থাকায়।
কুড়িগ্রাম-৩ আসনে জমা পড়া নয়টি মনোননয়পত্রের মধ্যে বিএনপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে।