ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না, ইউরোপীয় ইউনিয়নও পূর্ণাঙ্গ কোনো পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবে না।
Published : 28 Nov 2018, 10:15 AM
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ডেমোক্রেসি সাপোর্ট ও ইলেকশন কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবার নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে না। ফলে নির্বাচনের প্রক্রিয়া বা পরবর্তী ফলাফল নিয়েও কোনো মন্তব্য করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনও বাংলাদেশে যাবে না।”
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বলছে, তাদের কোনো সদস্যকে ইপির পক্ষ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা বা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
“সুতরাং আমাদের কোনো সদস্য যদি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন, তবে তা কোনোভাবেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাষ্য হবে না।”
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গত ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ নিয়ে গৃহীত এক প্রস্তাবে নির্বাচনের বিষয়ে এ সংস্থার অবস্থান স্পষ্ট করা হয়।
আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন ‘শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছতার সঙ্গে’ হবে বলে আশা প্রকাশ করে সেখানে সব রাজনৈতিক পক্ষকে ‘সহিংসতা ও উসকানির পথ’ পরিহারের আহ্বান জানানো হয়।
গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, নির্বাচন হতে হবে এমনভাবে যাতে ‘জনগণের ইচ্ছার’ যথার্থ প্রতিফলন ঘটে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রীতি অনুযায়ী ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কাউকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দিলে তারা ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গেই কাজ করেন।
কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত অক্টোবরেই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল, এবার তারা পূর্ণাঙ্গ কোনো পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবে না। কেবল দুজন বিশেষজ্ঞ নির্বাচন দেখতে বাংলাদেশে আসবেন।
ওই দুই বিশেষজ্ঞ ইতোমধ্যে ঢাকা পৌঁছেছেন। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিবৃতিতে পর্যবেক্ষক না পাঠনোর কোরো কারণ ব্যাখ্যা করা না হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজি টিরিংক বাজেট না থাকার কথা বলেছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বুধবার তিনি বলেন, “আমাদের অংশীদার অনেক দেশই এখন চায়, ইউরোপী ইউনিয়নের মিশন তাদের ভোট পর্যবেক্ষণ করুক। এই অবস্থায় বাজেট অনুযায়ী ইইউকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কোথায় পর্যবেক্ষক যাবে, আর কোথায় যাবে না।”
এর আগে ২০০৬ সালে বাংলাদেশের নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক মিশনের সফর বাতিল করতে হয়েছিল।
আর বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনে ২০১৪ সালে অর্ধেকের বেশি আসনে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। ওই নির্বাচনেও ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠায়নি।