ভোটের দায়িত্বে প্রথমবার গ্রাম পুলিশ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত গ্রাম পুলিশ ব্যবহার করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2018, 03:33 AM
Updated : 28 Nov 2018, 03:35 AM

মঙ্গলবার আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অর্থ বরাদ্দ বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

নির্বাচন কমিশনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “এ বছর আমরা নতুন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছি। সেটি হল এ বছর থেকে গ্রাম পুলিশকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করব।”

দফাদার ও মহলদার মিলে সারা দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা তফসিল ঘোষণার সময় বলেছেন, প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী এবং বিচারিক হাকিম নিয়োগ দেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী থেকে ৬ লক্ষাধিক সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাদের মধ্যে থাকবে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্ট গার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।

সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৪ থেকে ১৬ জন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। আর র‌্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা ছিলেন টহলে।

ওই নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ভোট হয়, ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।

দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকায় ভোটের সময় সশস্ত্র বাহিনীর অর্ধ লক্ষ সদস্যের সঙ্গে ছিলেন অন্তত ৮০ হাজার পুলিশ, আট  হাজার র‌্যাব, ১৬ হাজার বিজিবি ও প্রায় সোয়া ২ লাখ আনসার সদস্য।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, গতবার নির্বাচন আয়োজনে ব্যয় হয় প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৮৩ কোটি টাকাই লেগেছে আইন শৃঙ্খলা খাতে। পুরো ৩০০ আসনে ভোট করতে হলে খরচও সে অনুযায়ী দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে পরিচালনা ও আইন শৃঙ্খলায় ৭০০ কোটি টাকার খাতওয়ারি বরাদ্দ অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, “মঙ্গলবারের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অর্থ বরাদ্দ বিষয়ক সভায় আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাজেট সংক্রান্ত আলোচনা করেছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাজেট দাখিল করতে। আনসার বাহিনীকে আমরা শতভাগ টাকা অগ্রিম বরাদ্দ দেব। অন্য বাহিনীগুলোকে ৫০ ভাগ বরাদ্দ অগ্রিম দেব।”

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বুধবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রাখা হয়েছে।

প্রচার শুরু হওয়ার পর  ইসির আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন, কোথায় কখন কত দিন তারা মাঠে থাকবেন- তা চূড়ান্ত করা হবে।