আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২ আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে ইভিএম ব্যবহারের যোগ্য বিবেচিত ৪৮টি আসনের মধ্যে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে এ ছয়টি আসন চূড়ান্ত করার পর সোমবার তা ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের আপত্তির মধ্যেই এবার সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার যন্ত্রে ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। শহরাঞ্চলের ছয়টি আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণের এই সিদ্ধান্ত গত শনিবার জানায় ইসি।
ঢাকা-৬: ওয়ারী, গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর, কোতয়ালির একাংশ এবং বংশালের একাংশ ঢাকা-১৩: মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর আংশিক চট্টগ্রাম-৯: কোতোয়ালি-বাকলিয়া রংপুর-৩: সদর খুলনা-২: সদর ও সোনাডাঙ্গা সাতক্ষীরা-২: সদর |
ইভিএমে ভোট হয় যেভাবে
নির্বাচন কমিশন আসন্ন সংসদ নির্বাচনে যে ইভিএম ব্যবহার করবে, একই ধরনের যন্ত্র এর আগে রংপুর, খুলনা, গাজীপুর ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া যন্ত্রে ভোটগ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইভিএম মেলারও আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ যন্ত্রে আঙ্গুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা স্মার্ট পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটার শনাক্ত করা হয়। নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটকক্ষে একজন পোলিং অফিসার ভোটার ভেরিফিকেশনের কাজটি করেন ।
ডেটাবেইজে ভোটার বৈধ বা অবৈধ হিসেবে শনাক্ত হলে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তা দেখতে পান পোলিং এজেন্টরা।
ভোটার বৈধ হলে মেশিনে কুইক রেসপন্স কোড (QR CODE) এবং কিছু তথ্য সম্বলিত একটি টোকেন প্রিন্ট হবে, যা ভোটারকে দেওয়া হয়।
ভোটার টোকেন নিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে গেলে ভোটিং মেশিনের QR CODE স্ক্যানারের মাধ্যমে তার টোকেন শনাক্ত করে গোপন কক্ষে থাকা ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হবে।
ভোটার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে বাঁ দিকের বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করবেন। ওই ব্যালট ইউনিটে সবুজ রংয়ের CONFIRM বোতামে চাপ দিলে তার ভোট দেওয়া হয়ে যাবে।
কখনো ভুল প্রতীক সিলেক্ট করা হলে, ব্যালট ইউনিটের লাল রংয়ের CANCEL বোতাম চেপে পরে যে কোনো প্রার্থীকে আবার সিলেক্ট করা যাবে।
এভাবে দুই বার CANCEL করা যাবে, তৃতীয়বার যেটি সিলেক্ট করা হবে সেটি বৈধ ভোট হিসেবে গৃহীত হবে।