নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার সরাচ্ছে ডিএসসিসি

নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন সরাতে অভিযানে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2018, 11:42 AM
Updated : 19 Nov 2018, 12:58 PM

সোমবার সকালে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার নেতৃত্বে একটি দল সুরিটোলা, ইংলিশ রোড, পুরানা পল্টন, আজিমপুর, খিলগাঁও এবং মতিঝিল এলাকায় নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী অপসারণ করে।

ডিএসসিসি জানায়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার আগে থেকেই করপোরেশন এসব পোস্টার-ব্যানার অপসারণে কাজ করছে। যে কারণে ঢাকা দক্ষিণের বেশিরভাগ এলাকায় পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন তেমন একটা নেই বলে দাবি করেছে ডিএসসিসি।

আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ের সামনে সোমবার সরিয়ে ফেলা হয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচার সামগ্রী।

কোনো এলাকায় ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন থাকলে তা জানাতে বলেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও। এ বিষয়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে ডিএনসিসি।

ডিএনসিসির আনিক-১ (উত্তরা) এর সেলিম ফকির (০১৭১১০২৫০২৫), আনিক-২ (মিরপুর-২) এর এ এস এম শফিউল আজম (০১৭১১৩৯২২৩০), আনিক-৩ এর (মহাখালী) হেমায়েত উদ্দিন (০১৭১২৭২১০৭৫), আনিক-৪ এর (মিরপুর-১০) গুল্লাল সিংহ  (০১৭১৮৫৫১৭২২) এবং আনিক-৫ (কাওরান বাজার) এর মীর নাহিদ আহসানের (১৭২৬১০২২৮৬) নম্বরে ফোন করে এ বিষয়ে তথ্য জানানো যাবে।

এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজিদ আনোয়ারের মোবাইল ফোনে (০১৭৩২৯৮৯৮৯৮) যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে ডিএনসিসি।

আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ের সামনে সোমবার সরিয়ে ফেলা হয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচার সামগ্রী।

রোববার মধ্যরাতের মধ্যে ব্যানার-ফেস্টুনসহ প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন।

সময়সীমার মধ্যে সকল প্রচারণা সরানো না হলে পরদিন থেকে কমিশনের উদ্যোগেই এসব সরানোর কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীর অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয় নির্দেশনায়।

নির্বাচনী বিধি লংঘন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও রয়েছে ইসির হাতে।

আর রাজনৈতিক দল আচরণবিধি লংঘন করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ের সামনে সোমবার সরিয়ে ফেলা হয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচার সামগ্রী।

একইসঙ্গে ইসির নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বা দলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট রেখে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার এবং ভোটের আগে প্রায় ২০ দিনের আনুষ্ঠানিক প্রচারের সুযোগ রয়েছে প্রার্থীদের।