বুধবার দুপুরে ওই সংঘর্ষের ঘটনার দুই ঘণ্টার মাথায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন কমিশনে আলোচনায় বসার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের পরিস্থিতি করে সরকার নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে।”
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ মুখপাত্র সরকারের উদ্দেশে বলেন, “আমরা এ ধরনের পরিস্থিতি না ঘটানোর আহ্বান জানাই।… ভোটের অনুকূল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাই।”
বিএনপি কর্মীরা পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে শুরু করলে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে চলে লাঠিপেটা।
এক পর্যায়ে বিএনপি কর্মীরা নয়া পল্টনের সড়কে থাকা বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বিএনপি নেতাকর্মীরা বিনা উসকানিতে সংঘর্ষে জড়িয়েছে অভিযোগ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন নির্বাচন সামনে রেখে ‘ইস্যু তৈরির লক্ষ্যে’ তারা এটা ঘটিয়েছে।
আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ সংঘর্ষের জন্য বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসকে দায়ী করে বলেছেন, নির্বাচন ‘বানচাল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে’ ওই হামলা করা হয়েছে।