জোট শরিক গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, সরকার যেভাবে চাইছে নির্বাচন কমিশন সেভাবেই কাজ করছে।
তবে সন্তুষ্ট না হলেও নির্বাচনের মাঠে থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা ইসির কাজকে নজরদারির মধ্যে রাখবেন।
সাত দফা দাবি আদায় না হলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে ভোটের তফসিল এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্প ধারাও নির্বাচন এক সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানিয়েছিল।
তাদের দাবি আমলে নিয়ে সোমবার নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নতুন দিন ঠিক করে দিয়েছে।
ইসির সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সুব্রত চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের মনে হয়েছে, এটা সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন। তাদের হয়ে সিইসি কাজ করছেন।”
“এটা (৭ দিন পেছানো) যথেষ্ট নয়। উনি (সিইসি) যেভাবে শিডিউল দিয়েছেন, একইভাবে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আবারও দিয়েছেন।”
বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের তফসিল এখন ঘোষণা না করতেও ইসির প্রতি আহ্বান রেখেছিল। কিন্তু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণ দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
সুব্রত বলেন, “ঐক্যফ্রন্টের অনুরোধের পরও সরকারি দলের নির্দেশনা মোতাবেক সিইসি ৮ নভেম্বর তফসিল দিয়েছেন। রোববার ভোট পেছানোর জন্যে ফের সংবাদ সম্মেলন করা হল। তার আধ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানালেন, তফসিল পেছালে তাদের আপত্তি নেই।
“আমরা এক মাস পেছাতে বলেছি। উনারা ৭ দিন পেছাল, এটা পেলো কোথায়? মনে হচ্ছে, সরকার যেভাবে চাচ্ছে সেভাবে একটা তফসিল করছে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসির সঙ্গে কথা বলতে কয়েকদিনের মধ্যে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা যাবেন বলে জানান সুব্রত।
ঐক্যফ্রন্টের পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা ইসিকে কঠিন নজরদারিতে রাখছি। কখন কী করে, সরকারও কী করছে না করছে, আমরা দেখব। আমরা তো নির্বাচনের মাঠে আছি, নামছি তো নামছি। কিন্তু আমরা কঠিন নজরদারিতে রেখে আমরা অগ্রসর হব।”