গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে পুরনো ধ্যান ধারণা আঁকড়ে থাকায় সরকারের বিজ্ঞাপন নীতির সমালোচনা করেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
Published : 23 Oct 2016, 09:42 PM
তিনি বলেছেন, “সরকার পুরনো ঘরানার সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের পেছনে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করছে। এই বিজ্ঞাপন নীতি কেবল অবাস্তবই নয়, মান্ধাতা আমলেরও বটে।”
রোববার দেশের প্রথম এই ইন্টারনেট সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের দশক পূর্তির অনুষ্ঠানে তার এই মন্তব্য আসে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সরকারের কর্তাব্যক্তি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যক্তিরা র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, দুইশ কপি বিক্রি হয় না- এমন পত্রিকাও যেখানে সরকারি বিজ্ঞাপন পাচ্ছে, সেখানে লাখ লাখ পাঠক নিয়েও ইন্টারনেটের প্রকাশনাগুলো থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত।
“এর মধ্য দিয়ে সরকার করদাতাদের টাকার অপচয় করছে, কারণ তাতে ফল আসছে প্রায় শূন্য।”
এর মধ্যে টেলিভিশনগুলোই পুরো বিজ্ঞাপন বাজারের ৯০ শতাংশের বেশি অর্থ পায়। বাকি ১০ শতাংশের বেশিরভাগটা যায় পত্রিকায়। ইন্টারনেট সংবাদপত্রগুলো যা পায়, তার পরিমাণ যৎসামান্য।
আর ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কোনো নীতিমালা না থাকায় সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে তারা বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছে।
গত কয়েক বছরে ইন্টারনেটে ভিড় করা বাংলাদেশের অসংখ্য নিউজ পোর্টালের মধ্যে এক হাজার ৭১৭টি অনলাইন পত্রিকা সরকারের শর্ত মেনে তথ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেছে।
বিটিআরসির তথ্য তুলে ধরে তৌফিক ইমরোজ খালিদী অনুষ্ঠানে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ২৩ লাখের বেশি, যা যুক্তরাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় সমান। এ থেকেই অনুমান করা যায়, কত বিশাল সংখ্যক পাঠকের কাছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পৌঁছে যাচ্ছে।
.
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একজন মুখপাত্র বলেন, ইন্টারনেটে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি ব্রাউজার থেকে একটি ওয়েবসাইটে ‘একসেস’ করাকে একটি ‘ইউনিক ভিজিট’ ধরা হয়, যা প্রকাশনা শিল্পে মুদ্রিত সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যার সঙ্গে সমতুল্য।
“অর্থাৎ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম যদি মুদ্রিত সংবাদপত্র হত, তাহলে এর প্রচার সংখ্যা এক কোটিতে দাঁড়াত। এই সংখ্যা দেশের সব মুদ্রিত সংবাদপত্রের সম্মিলিত প্রচার সংখ্যার বহুগুণ বেশি।”