দেশে অতিদারিদ্র্য থাকবে না

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2016, 07:36 PM
Updated : 23 Oct 2016, 10:34 AM

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক (এমডিজি) কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি।

এমডিজি শুধু উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ছিল। মূলত উন্নত বিশ্ব থেকে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সহায়তার মাধ্যমে তা বাস্তবায়িত হওয়ার কথা ছিল। তাই এটি ছিল সহায়তানির্ভর। তবে সেই অর্থায়ন ও সহায়তা তেমনভাবে আসেনি। অনেক দেশ কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি করতে পারেনি। তবে বেশ কয়েকটি দেশ এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ মূলত নিজের অর্থায়নে দারিদ্র্র্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সময়ের আগে অগ্রগতি ঘটিয়ে উদাহরণ স্থাপন করেছে। অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে ঘাটতিও রয়েছে।

এসডিজিতে বিশ্বের সব দেশই অন্তর্ভুক্ত। এসডিজিতে ১৭টি লক্ষ্য ছাড়াও রয়েছে ১৬৯টি টার্গেট। যেহেতু বিভিন্ন দেশের মধ্যে উন্নয়নের মাত্রাগত অনেক পার্থক্য রয়েছে, তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী লক্ষ্য ও লক্ষ্যমাত্রাগুলোর মধ্যে প্রত্যেক দেশের অগ্রাধিকার পৃথক হতে পারে। গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসকরণ বা সাম্য প্রতিষ্ঠা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা যায়।

২০০০ সালে ১৮৯ দেশ মিলে ভবিষ্যতের বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, যুদ্ধ, দারিদ্র্য কমাতে ‘মিলেনিয়াম ডিক্লিয়ারেশন’ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ডিক্লিয়ারেশনকে পাশ কাটিয়ে, আমলাতান্ত্রিকভাবে আটটি সহস্রাব্দ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। গত ১৫ বছরে সার্বিকভাবে এসব ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। ইতোমধ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা কমেছে। বিশ্বব্যাপী শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। স্বাস্থ্যসেবারও উন্নয়ন হয়েছে অনেক। তবে এই অর্জনে দেশে দেশে ব্যাপক তারতম্য রয়েছে। আগেই বলা হয়েছে যে, সহস্রাব্দ উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অর্জন খুবই উল্লেখযোগ্য। যেমন: দারিদ্র্য ১৯৯০ সালে ছিল ৫৯ শতাংশ, ২০০৫ সালে ৪০ শতাংশের মতো, বর্তমানে তা নেমে এসেছে ২২-২৩ শতাংশে। অতি দারিদ্র্য এখন ১২ থেকে ১৩ শতাংশ।   

২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিকভাবে অতিদারিদ্র্য ও ক্ষুধা পুরোপুরি দূর করার অঙ্গীকার রয়েছে এসডিজিতে। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের অনেক আগেই এ কাজটি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। উল্লেখ্য, এমডিজিতে যে ১৭-১৮টি দেশ লক্ষ্যপূরণে সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ তাদের অন্যতম।

এমডিজির মতো এসডিজি অর্জন করতে হলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

এমডিজি ও এসডিজির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল, এসডিজির পেছনে মৌলিক কিছু নীতি ও মূল্যবোধ রয়েছে যা এমডিজির ক্ষেত্রে ছিল না। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া মানব স্বাধীনতা, সাম্য ও অংশগ্রহণ,  মানবাধিকার ও মানব মর্যাদা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত। এতে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ও প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরে মানুষে-মানুষে ও নারী-পুরুষে সাম্য, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও সহমর্মিতার কথা বলা আছে।

টেকসই উন্নয়নের আসলে তিনটি স্তম্ভ রয়েছে এক. অর্থনৈতিক উন্নতি, দুই. সামাজিক বিকাশ এবং তিন. পরিবেশ সংরক্ষণ। আর এসব উন্নয়ন ঘটাতে হবে মানুষকে কেন্দ্র করে। সঙ্গতভাবেই এটি বাস্তবায়নে সব মহলের সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে। নীতি, কৌশল ও প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় থাকতে হবে। রাষ্ট্রের বড় ধরনের অঙ্গীকার থাকতে হবে। আশার কথা, বাংলাদেশের সে অঙ্গীকার আছে।

এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ। টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়িত করতে হলে, এর নীতি ও কৌশল নির্ধারণ এবং মানবদক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। এ ছাড়া ব্যাপক তথ্যের দরকার হবে এসডিজি বাস্তবায়নে। পরিবার ও সমাজভিত্তিক ব্যাপক গবেষণাগার ব্যবস্থা করতে হবে।

এসডিজি বাস্তবায়নে অগ্রগতি পরিমাপ করার জন্য নিজস্ব সূচক তৈরি করতে হবে। কমিটি এসব কাজে ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। কোন মন্ত্রণালয় বা সংস্থা কী কাজ করবে এবং সমাজের কোন পর্যায়ে কী কাজ হবে, তা-ও এই কমিটি চিহিৃত করছে।

আগেই বলেছি, গৃহীত ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণ এবং সাম্য প্রতিষ্ঠা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য লক্ষ্য কোনো না কোনোভাবে এ তিনটির সঙ্গে সংযুক্ত। যখনই দারিদ্র্য বিমোচনের কথা আসে, এর সঙ্গে মানবক্ষমতা সৃষ্টি স্বাভাবিকভাবেই এসে পড়ে। কাজেই শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ অনেক বিষয়ে নজর দেওয়ার বিষয় সামনে এসে যায়। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করার কথাও গুরুত্ব পায়। একইভাবে দেখা যায়, অন্যান্য লক্ষ্য, যেমন: পানিপ্রাপ্তি, জ্বালানিপ্রাপ্তি, উৎপাদন প্রক্রিয়া, ভোগ প্রক্রিয়া, শহরায়ন ইত্যাদির যথাযথ উন্নয়ন নিশ্চিত করাও জরুরি। অন্যান্য লক্ষ্যও একইভাবে গুরুত্বে চলে আসবে। বস্তুত লক্ষ্যগুলোর প্রত্যেকটি আলাদা হলেও প্রতিটি একই সূত্রে গাঁথা।

এসডিজি বাস্তবায়নে নিজের শক্তির উপর জোর দিতে হবে। দারিদ্র্যের বিষয়টি সবসময় গুরুত্ব পেয়েছে। এমডিজিতে ছিল, এসডিজিতেও আছে। তবে এবার অতিদারিদ্র্যসহ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের কথা বলা হয়েছে। এসডিজিতে বৈষম্য কমানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের গবেষণায় চরমভাবে বৈষম্যের বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ আছে এক শতাংশ ধনী মানুষের কাছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক শতাংশ মানুষের কাছে রয়েছে দেশটির ৪০ ভাগ সম্পদ। বাংলাদেশে অবশ্য বৈষম্য এতটা প্রকট নয়।

বাংলাদেশে অতিদরিদ্র কিছু গোষ্ঠী রয়েছে, যাদের জীবনে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তদের মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধী, দলিত ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী (এদের সংখ্যা প্রায় ৬৫ লাখ)। আছে নারী কৃষিশ্রমিক, চা-শ্রমিক, হাওর-বাওরবাসী, পাহাড়ি, নদীভাঙন একাকায় বসবাসকারী, উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে সম্প্রদায়সহ দরিদ্র্য মানুষ, হিজড়া ও ভিক্ষুক। এদের সবার প্রয়োজন এক রকম নয়। এটা মাথায় রেখেই তাদের সমস্যা চিহ্নিত করে বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। চলতি বাজেটে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, যা খুবই ইতিবাচক।

সরকার সম্প্রতি অতিদ্ররিদ্র ৫০ লাখ মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু করেছে। এটা দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। কিন্তু এরই মধ্যে পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এটা কঠোর হাতে মোকাবিলা করতে হবে।

যে কোনো উদ্যোগের দুটো দিক থাকে এক. যাদের উদ্দেশ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তাদের হাতে যেন তা পৌঁছায় এবং দুই. তা যেন সময়মতো পৌঁছায়। এর ব্যত্যয় হলে উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।

প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। বিনিয়োগ না বাড়ালে প্রবৃদ্ধি বাড়বে না। বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমত, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। যদিও বিগত বছর দেড়েক ধরে পরিস্থিতি ভালো। তবে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা সম্বন্ধে নিশ্চিত না হলে, বিনিয়োগকারীরা সাধারণত বিনিয়োগে উৎসাহী হন না। এ ছাড়া অবকাঠামোসহ রাস্তাঘাট তথা যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। জ্বালানি তথা বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন গত ৬-৭ বছরে বেড়েছে তিনগুণ, তবে এ সময়ে চাহিদা বেড়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। তাই বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। একই কথা খাটে গ্যাসের ক্ষেত্রেও। সরকার এ দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত বাড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রকল্প ও পরিকল্পনার কার্যকর এবং সময়মতো বাস্তবায়নে আরও নজর দেওয়া ও মানসম্পন্ন কাজ সম্পাদনে তদারকি আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে প্রবৃদ্ধিতে সব নাগরিকের ন্যায্য অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। আমার মতে, এর জন্য বিশেষভাবে নজর দিতে হবে গ্রামীণ অর্থনীতির দিকে। বাংলাদেশে কৃষির বাইরেও অন্যান্য নানা খাতে অগ্রগতি ঘটছে এবং আরও ঘটানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে যথাযথ সহায়তা দিতে হবে। ছোট ছোট শিল্প ও ব্যবসাসহ পোলট্রি, মাছ চাষ ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আরও সম্প্রসারণের জন্য অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশপাশি প্রযুক্তিগত ও বাজারজাতকরণে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। শুধু অর্থ সহায়তা দিয়ে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশ এখন দ্রুত অগ্রগতির পথে, অথনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী। এটা ধরে রাখতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সব মহলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া সামাজিক ক্ষেত্রেও উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে, ছেলে-মেয়েদের মধ্যে শিক্ষায় সাম্যপ্রতিষ্ঠা এবং মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাসে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলনামূলকভাবে বেশি। অবশ্যই এসব ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যেতে হবে। যারা পিছিয়ে আছে তারাও যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ নিজের অর্থায়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এটা একাটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশ এককভাবে তেমন কিছু করতে পারবে না। এ জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি। আশার কথা, বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে বলিষ্ঠভাবে সচেষ্ট। 

কী অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কী সামাজিক বিকাশ, কী পরিবেশ সংরক্ষণ, সব ক্ষেত্রেই মানবদক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। তাই মানসম্পন্ন শিক্ষা ও দক্ষতা সৃষ্টির দিকে আরও মনোযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশে একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি ও দক্ষতা উন্নয়ন নীতি রয়েছে।

তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবা-প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। তরুণ সমাজকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।

বলা বাহুল্য, বিশ্বের সব দেশেই উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতি একটি বড় বাধা। বাংলাদেশে দুর্নীতি নির্মূলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন থাকলেও সেটি তেমনভাবে এখনও কর্যকর নয়। আমি মনে করি, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে এমডিজিতে আমরা যতটা সাফল্য পেয়েছি, তা আরও বেশি হতে পারত।

এ ছাড়া বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় বাধা হল জঙ্গিবাদ। টেকসই উন্নয়নের জন্য জঙ্গিবাদ দমন করা জরুরি। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে সম্প্রতি যথেষ্ট সফল। এই সফলতা ধরে রাখতে হবে।

সরকার আশা করছে, ২০২১ সালের মধ্যে অতিদ্রারিদ্র্য নির্মূল হবে। আর আন্তর্জাতিকভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গীকার। তবে ধারণা করি, ২০২১ সালের মধ্যে হয়তো লক্ষ্য পূরণ হবে না, আবার এর জন্য আমাদের ২০৩০ সাল পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হবে না। যদি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়, তবে আগামী পাঁচ বছরে না হলেও সাত-আট বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অতিদ্রারিদ্র্য নির্মূল করা সম্ভব হবে।

অনুলিখন: হাসান ইমাম