বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ফের আগের সপ্তাহের অবস্থান ফিরে পেয়েছেন হিলারি।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার নিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন হিলারি। ওই বিষয়ে ফের তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে শুক্রবার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই।
এফবিআইয়ের এ ঘোষণার পর জাতীয়ভাবে করা বেশ কয়েকটি জরিপের ফলাফলে দেখা গিয়েছিল, ট্রাম্পের সঙ্গে হিলারির এগিয়ে থাকার ব্যবধান কমে গেছে, কোনো কোনো জরিপে ট্রাম্প এগিয়ে গেছেন বলেও দেখা যায়।
কিন্তু রয়টার্স/ইপসোসের সর্বশেষ জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্পের চেয়ে হিলারির এগিয়ে থাকার ব্যবধান ফের বৃদ্ধি পেয়ে ৬ শতাংশ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে।
এফবিআইয়ের ঘোষণার আগে গত সপ্তাহেও এই একই ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন হিলারি।
তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হাড্ডাহাড্ডি হতে যাচ্ছে এমন ইঙ্গিত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অর্থ বাজার প্রবল ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে নিউ ইয়র্কের ব্যবসায়ী ট্রাম্প জয় ছিনিয়ে নিতে পারেন, এমন ভাবনা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের।
এতে বুধবার বিশ্বের শেয়ার বাজারগুলোতে দরপতন হয়, তেলের ও ডলারের মূল্য পড়ে যায়। বিপরীতে বিনিয়োগের নিরাপদ-স্বর্গ হিসেবে বিবেচিত সোনা ও সুইস ফ্রা-র দাম চড়ে যায়।
প্রার্থীদের মধ্যে হিলারি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারবেন বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। অর্থবাজারের জন্য স্থিতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এই বাজার অনিশ্চয়তা পছন্দ করে না।
ফ্লোরিডার পেন্সাকোলায় এই শেষ সময়ের এক প্রচারণায় তিনি জিতবেন বলে অনুমান প্রকাশ করেন ট্রাম্প। খোলা আকাশের নিচে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ইতোমধ্যেই এ রকম (জয়ের) অনুভূতি হচ্ছে, তাই না?”
তিনি বলেন, “আমরা সুন্দর ও শান্ত হয়েছি, সুন্দর ও শান্ত। বেশ, ডোনাল্ড, মূলপথে থাক, মূলপথে, গলিতে না; সুন্দর এবং স্বাচ্ছন্দ্য।”
এর আগে কয়েক মাস ধরে প্রচারণা চলাকালে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজের ক্ষতি ডেকে এনেছিলেন তিনি।
অপরদিকে একইদিন লাস ভেগাসে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হিলারি, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদে একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া, মসুলমান ও মেক্সিকান-আমেরিকানদের হেয় করা, ট্রাম্পের এ ধরনের বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ করে বলেন, “এগুলোর গুরুত্ব উপলব্ধি করা তার আয়ত্তের বাইরে।”
ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতিকে ‘অবিশ্বাস্যরকম বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়ভাবে করা সব জরিপের গড় করে রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকস্ দেখিয়েছে, বুধবার জাতীয়ভাবে ট্রাম্পের চেয়ে এক দশমিক সাত শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। এই ফলাফলে দেখা যায়, হিলারির পক্ষে ৪৭ শতাংশ এবং ট্রাম্পের পক্ষে ৪৫ দশমিক তিন শতাংশ মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন।