ইবোলা নিয়ে স্বতন্ত্র একটি প্রতিবেদন করেছে ডব্লিউএইচও’র পর্যালোচনা প্যানেল। এ প্যানেলের প্রধান ডেমি বারবারা স্টোকিং ডব্লিউএইচও’র কার্যক্রম নিয়ে উপরের মন্তব্য করেন।
স্টোকিং বলেন, ডব্লিউএইচও ইবোলা মহামারি মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে।
ইবোলা আক্রান্ত হয়ে ১১ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই পশ্চিম আফ্রিকার নাগরিক ছিলেন।
তবে এজন্য শুধু ডব্লিউএইচও কে দায়ী করা ঠিক হবে না বলে মনে করেন অক্সফামের সাবেক প্রধান স্টোকিং। বরং পুরো মানবিক ব্যবস্থাপনাতেই দুরদর্শিতার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ডব্লিউএইচও অনুমোদিত এই প্রতিবেদন মঙ্গলবারই প্রকাশ পাওয়ার কথা রয়েছে।
এরই মধ্যে নিজেদের সংস্কারের পরিকল্পনা করেছে ডব্লিউএইচও। ইবোলার প্রাদুর্ভাব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনেক দেরি করেছিল আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।
২০১৩ সালে ইবোলার প্রদুর্ভাব শুরু হয়। ২০১৪ সালের অগাস্টে ডব্লিউএইচও গণস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ততদিনে ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়ে গেছে।
স্টোকিং বলেন, “সংস্থাটির ভেতরে কি কি পরিবর্তন আনা প্রয়োজন সে ব্যাপারে আমরা ডব্লিউএইচও কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেব।”