২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী। তারপর থেকে একদিনে এটিই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা। আর এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার।
জাতিসংঘ সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে ইয়েমেনে বিমান হামলা ও যুদ্ধ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের দাবি, তারা ইয়েমেনের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে উৎখাত করতে চায়। অন্যদিকে, সৌদি আরবের দাবি, ইয়েমেনের বৈধ সরকারকে রক্ষা করতে তারা হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
হুতি নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সাবা তাদের প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার উত্তরের প্রদেশ আমরানে বিমান হামলায় প্রায় ৬৩ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে একটি বাজারে বিমান হামলায় মারা গেছে ৩০ জন।
একই প্রদেশে হুতিদের একটি চেকপয়েন্টের বাইরে আরো ২০ যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে।
দক্ষিণের শহর আল-ফইউশে বিমান হামলায় আরো প্রায় ৬০ হুতি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
দক্ষিণে এডেন ও লাহজ শহরের মধ্যবর্তী প্রধান সড়কে হুতিদের আরেকটি চেকপয়েন্টে বিমান হামলায় ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে (যাদের মধ্যে ১০ জন হুতি যোদ্ধা)।
এছাড়া, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দু-রাব্বু মনসুর হাদির পক্ষের যোদ্ধাদের সঙ্গে হুতি বিদ্রোহীদের যুদ্ধে ২০ হুতি যোদ্ধা নিহত হওয়ার দাবি করা হয়েছে।