নতুন বেইল আউটের (আর্থিক পুনরুদ্ধার সহায়তা) জন্য দাতাদের দেওয়া কঠোর ব্যয় সংকোচনের প্রস্তাব গণভোটে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর মঙ্গলবার ব্রাসেলসে জরুরী শীর্ষ বৈঠকে বসছেন ইউরো জোনের নেতারা।
এই বৈঠকে সিপ্রাসের দিতে যাওয়া নতুন প্রস্তাবটিকে একক মুদ্রা ইউরোতে টিকে থাকার ক্ষেত্রে গ্রিসের শেষ সুযোগ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিবিসি জানিয়েছে, পরিকল্পিত নতুন প্রস্তাবনায় গ্রিসের ঋণ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করার দাবি জানানো হবে বলে জানা গেছে।
ঋণদাতাদের অনেকগুলো শর্ত মেনে নেওয়ার জন্য সিপ্রাস প্রস্তুত হয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিন্তু গণভোটে জনগণের ব্যাপক সমর্থন পাওয়ার পর সাহসী হয়ে উঠা সিপ্রাস দাতাদের শর্তে বেশ কিছু পরিবর্তন দাবি করবেন এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণছাড় চাইবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ইউরো জোনের সঙ্গে গ্রিসের এসব দেনদরবারে নতুন অর্থমন্ত্রী ইউক্লিড সাকালোতস কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার পদত্যাগকারী বাগ্মি সাবেক অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারুফাকিসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ইউক্লিড।
৩২৩ বিলিয়ন ইউরো ঋণ খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা গ্রিসকে ‘সিরিয়াস’ প্রস্তাব দিতে বলেছে ইউরো জোনের প্রধান দুই অংশীদার জার্মানি ও ফ্রান্স।
সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ প্যারিসে বৈঠকের পর গ্রিসের জন্য ইউরো জোনের দরজা এখনও খোলা আছে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে আর্থিক সংকটের কারণে মঙ্গল-বুধবারও গ্রিসের ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকবে।
গ্রিসের ব্যাংক খাতের উপর চাপ ধরে রেখে বর্তমান জরুরি ঋণগুলোর বিষয়ে আরো নিশ্চয়তা দাবি করেছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), জরুরী ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে।