চুক্তির জন্য ইরানকে ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিতে হবে: কেরি

ইরান প্রয়োজনীয় ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ গ্রহণ করলে এ সপ্তাহেই পরমাণু চুক্তি সম্ভব বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। নতুবা যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা থেকে বেরিয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2015, 01:25 PM
Updated : 6 July 2015, 01:25 PM

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের সঙ্গে চার দফা বৈঠক করেন কেরি। ওই বৈঠকগুলোর কোনো একটির বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

কেরি বলেন, গত কয়েক দিনে চুক্তির বিষয়ে তারা ‘বাস্তবেই অনেকখানি এগিয়েছেন’। কিন্তু ‘কঠিন বিষয়গুলোর বেশিরভাগই এখনো পড়ে আছে’।

“আগামী কয়েক দিনে যদি দ্রুত কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয় তবে এ সপ্তাহেই একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব। কিন্তু যদি তারা সিদ্ধান্ত নিতে না পারে তবে আমরাও পারব না।”

ভিয়েনায় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছেন।

ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে গত বছর নভেম্বরে আলোচনা শুরু হওয়ার পর এবছর ২ এপ্রিল একটি খসড়া চুক্তি হয়। ৩০ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হতে না পারায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তি হয়নি।

নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলতে থাকে। ৭ জুলাইয়ের মধ্যে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার নতুন তারিখ নির্ধারিত হয়।

কেরি বলেন, নির্ধারিত সময়কে সামনে রেখে আলোচকরা এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কূটনীতিকরা বলছেন, ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কোন চুক্তি না হলে আলোচনা আর এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। কারণ ৯ জুলাইয়ে ওবামা প্রশাসনকে অবশ্যই কংগ্রেসে একটি চুক্তি উত্থাপন করতে হবে, যাতে পর্যালোচনার জন্য প্রয়োজনীয় ৩০ দিন হাতে পাওয়া যায়।

যদি চুক্তি হয় তবে ইরানকে অন্তত ১০ বছরের জন্য তাদের পরমাণু কার্যক্রম কমিয়ে আনতে হবে। বিনিময়ে তাদের ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হবে।

চুক্তির বিষয়ে ওবামা প্রশাসনকে বিরোধী রিপাবলিকান সিনেটর ও ইসরায়েলের কঠোর বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে।

কেরি বলেন, “যদি আমরা একটি চুক্তিতে উপনীত হতে না পারি তবে বুঝতে হবে সেখানে অবশ্যই একগুঁয়েমি ও সদিচ্ছার অভাব কাজ করেছে। এটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ওবামা সবসময়ই বলেছেন, আমরা আলোচনা থেকে বেরিয়ে যেতে প্রস্তুত।”