সোমবার এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “ইউরোগোষ্ঠীর কিছু অংশগ্রহণকারীকে এবং অন্যান্য সহযোগীদের নিশ্চিত করছি, তাদের বৈঠকে আমি উপস্থিত থাকছি না। ইউরোজোনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্র প্রস্তুতে এটি সহায়ক হবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী (অ্যালেক্সিস সিপ্রাস) ।”
ভারুফাকিসের পদত্যাগে ইউরো জোনের সঙ্গে এথেন্সের কোনো সম্ভাব্য চুক্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা অপসারিত হল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
স্বঘোষিত ‘ব্যতিক্রমী মার্কসিস্ট’ অর্থনীতিবিদ ভারুফাকিস তার অপ্রচলিত ধরনের কঠোর বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে ইউরো জোনের অংশীদারদের বিরাগভাজন হয়েছেন। গণভোটে ‘না’ ভোটের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালানো ভারুফাকিস গ্রিসের ঋণদাতাদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
গ্রিস সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরবর্তী অর্থমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আন্তর্জাতিক দাতাদের সঙ্গে গ্রিসের ঋণ আলোচনায় নেতৃত্ব দেওয়া ইউক্লিড সাকালোতস এগিয়ে আছেন।
এপ্রিলে দাতাদের সঙ্গে আলোচনা থেকে ভারুফাকিস সরে দাঁড়ালে নম্র স্বভাবের অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক সাকালোতস ঋণদাতাদের সঙ্গে আলোচনায় প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া রাজনৈতিক নেতাদের একটি বৈঠকের পর গ্রিসের পরবর্তী অর্থমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে ।