শনিবার এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা সূত্রগুলো।
উত্তর সিনাইয়ের শেখ জুবেইদ টাউনের নিকটবর্তী এলাকায় এসব বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। হামলায় অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরকের মজুদও ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়া সিনাই ও গাজার সীমান্ত এলাকার একটি টানেল থেকে নিরাপত্তা বাহিনী আধা টন বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে বলেও জানিয়েছে ওই সূত্রগুলো।
একইদিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো সামরিক পোশাক পরে উত্তর সিনাই সফর করেছেন মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তা আল সিসি।
তিনি উত্তর সিনাই প্রদেশের প্রধান শহর এল-আরিশে সেনা ও পুলিশদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজখবর নেন।
এ সময় সেনা জওয়ানদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সাম্প্রতিক দিনগুলোর লড়াইয়ে অন্তত ২০০ জঙ্গি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, আমাকে এটা বলা যথেষ্ট নয়, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্থিতিশীল চাই।”
সিসির ভাষণের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ট্যুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে সিনাই আইএস দাবি করে, শেখ জুবেইদ এলাকায় তারা সেনাবাহিনীর দুটি যান লক্ষ করে দুটি বোমা হামলা চালিয়েছে।
এই বিবৃতিতে দাবি করা তথ্যের সত্যাসত্য তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে সিনাইয়ের নিরাপত্তা ও হাসপাতাল সূত্রগুলো জানিয়েছে, শেখ জুবেইদে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ করে ছোঁড়া রকেট চালিত একটি গ্রেনেড একটি বাড়িতে আঘাত হেনেছে, এতে দুইজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন।
বুধবার উত্তর সিনাইয়ের সামরিক তল্লাশি চৌকিগুলোতে একযোগে হামলা করেছিল জঙ্গিরা। এরপর দুপক্ষের দিনভর লড়াইয়ে শতাধিক জঙ্গি ও ১৭ সেনা নিহত হন।
এই হামলার জের ধরে উত্তর সিনাইয়ের জঙ্গি অবস্থানগুলো লক্ষ করে বিমান হামলা শুরু করে মিশরীয় সামরিক বাহিনী। ওই হামলায় বৃহস্পতিবার আরো ২৩ জঙ্গি নিহত হয়েছিলেন।