এই গণভোটের উপর গ্রিসের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকা না থাকা নির্ভর করছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস জনগণকে ‘না’ এ ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
যদিও সর্বশেষ মতামত জরিপে ‘হ্যাঁ’ এর জয়লাভের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
জানুয়ারিতে সিপ্রাস গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে তিনি গ্রিসে বেশ কয়েক বছর ধরে চলা কৃচ্ছ্বতার অবসান ঘটনোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এর পরিপ্রক্ষিতে ইউরোজোনের নেতারা গণভোটের আগে বিষয়টি নিয়ে কোনো রকম আপোস আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।
গণভোটে যদি ‘হ্যাঁ’ জয়ী হয় তবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সিপ্রাস।
তিনি বলেন, প্রচণ্ড ঝুঁকি বিরাজ করছে। ভোটাররা ঋণদাতাদের বেইলআউট পরিকল্পনার (যে পরিকল্পনা গ্রিসের জন্য অবমাননাকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন সিপ্রাস) পক্ষে রায় দিলে সরকারের পতন ঘটতে পারে।
সিপ্রাসের মতো গ্রিসের অর্থমন্ত্রীও ভোটের ফল ‘হ্যাঁ’ হলে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে ইইউ নেতারা হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, গ্রিসের জনগণ ‘না’ ভোট দেয়ার মাধ্যমে ঋণদাতাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে গ্রিসকে ইউরোজোন থেকে বের করে দেয়া হবে।
ফলে গণভোট ঘিরে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা।
শুক্রবার অন্তত ৫০ হাজার মানুষের এক সমাবেশে সিপ্রাস বলেন, “যারা আপনার দৈনন্দিন জীবন-যাপন দুর্বিষহ করে তুলেছে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন।”
“রোববার ইউরোজোনে থাকা না থাকার বিষয়েই আমরা শুধু সিদ্ধান্ত নেব না , বরং আমরা ইউরোপে সম্মানের সঙ্গে জীবন-যাপন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”
সিপ্রাস বিরোধীদের অভিযোগ, গ্রিসের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিপ্রাস জুয়া খেলছেন।
‘হ্যাঁ’ সমর্থকদের মিছিলে অংশ নেয়া একজন বলেন, “আমরা জানি যদি আমরা ‘না’ বলি তবে ঋণদাতারা আমাদের জন্য তাদের দরজা বন্ধ করে দেবে। কিন্তু আমাদের লড়াই করতে হবে।”
“শুধু গ্রিসের জন্য নয় বরং ইউরোপের সব মানুষের জন্য (যারা শুধুমাত্র মতে আলাদা) আমাদের লড়াই করতে হবে।”
শুক্রবার প্রকাশিত মতামত জরিপগুলোর মধ্যে চারটিতে ‘হ্যাঁ’ ভোট সামান্য এগিয়ে আছে। আর একটিতে ‘না’ ০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে।