গত বছর ইসরায়েলের গাজা অভিযানে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা ইউএনএইচআরসির ওই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত ছিল ভারত।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচটি দেশ এর বিপক্ষে ভোট দিলেও ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ইসরায়েলবিরোধী এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।
২০১৪ সালে ইসরায়েলের ৫০ দিনের গাজা অভিযানে ২১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের অধিকাংশই নিরীহ নারী-পুরুষ-শিশু।
ভারতের ভোট দানে বিরত থাকাকে ‘অভূতপূর্ব অর্জন’ উল্লেখ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল বলেছে, এটা তাদের প্রতি ভারতের নীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে তারা।
তবে এর পরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে নয়া দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করা হয় বলে টাইমস অফ ইন্ডিয়া ও জিনিউজ জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট না দেওয়ার মানে এই নয় যে তারা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থনের নীতি থেকে সরে এসেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোম সংবিধি অনুসরণে এই প্রস্তাব আনা হয়েছিল, যা ভারত স্বাক্ষর করেনি।
রোম সংবিধির আওতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠিত হয়েছে, যাতে যুদ্ধাপরাধের বিচারও করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “এক্ষেত্রে আমরা আগের নীতিই অনুসরণ করেছি। আগে যেভাবে সিরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে ভোট দেয়নি, একইভাবে ইসরায়েলের ক্ষেত্রে ভোট দেওয়া হয়নি।”
তবে ইসরায়েল সফরের ঘোষণা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেওয়ার পর এই ভোট না দেওয়াটি ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দুই মাস আগে তার প্রধানমন্ত্রীর ইসরায়েল সফরের ঘোষণা দেন। সফরের দিন-ক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
এই সফরে গেলে মোদীই হবেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যার পা পড়বে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদি রাষ্ট্রটিতে।