আদালতের দেওয়া বুধবারের এ রায়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকে আদালতের রায়ের নিন্দা করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কোরান শরিফ পোড়ানোর মিথ্যা অভিযোগে ফারখুন্দা মালিকজাদা নামের ওই তরুণীকে কাবুলের একটি মাজারের কাছে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। প্রথমে পাথর নিক্ষেপ করে তাকে হত্যা করা হয়, পরে মৃতের শরীরের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়, তারপরে ক্ষতবিক্ষত দেহটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
রুদ্ধদ্বার শুনানিতে দেয়া আদালতের রায়ে মাজারের খাদেমকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণায় আফগানিস্তানের নারী অধিকার কর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ওই হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে মে মাসে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ে অভিযুক্ত আটজনের ১৬ বছর করে কারাদণ্ড ও অপর চারজনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল।
ফারখুন্দার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় ওই মাসের শেষ দিকে আরো ১১ পুলিশ সদস্যকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। অন্য আট পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কিন্তু আপিল আদালত চার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তের শাস্তি কমিয়ে তাদের প্রত্যেককে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমেগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আপিল আদালতের রায়ে অভিযুক্ত মাজারের খাদেম ওমরানকে খালাস দেয়া হয়। এই ওমরানের সঙ্গে ফারখুন্দার তর্কাতর্কির পর তার ইন্ধনেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ওমরানই কোরান পোড়ানোর মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন।
আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কাবুলের নারী অধিকার কর্মী ওয়াসজিমা ফ্রজ বলেছেন, “পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই অবিচারের একটি দৃষ্টান্ত। এটি প্রমাণ করেছে, শুধু তালেবানরা নয়, আফগানিস্তানের পুরো পদ্ধতিটাই নারীদের দাবিয়ে রাখার পক্ষে।”